পবনের নেতৃত্বে ফার্স্টবয় কোচবিহার

কোচবিহার জেলার প্রায় অর্ধেক মানুষ পরিষেবা পেল দুয়ারে সরকার প্রকল্পে। জেলাশাসক পবন কাদিয়েনের নেতৃত্বে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পে রাজ্যে শতাংশ হিসেবে মানুষকে পরিষেবা দেওয়াতে প্রথম হয়েছে কোচবিহার। এই সাফল্যে খুশির হাওয়া জেলার আধিকারিকমহল। জেলাশাসকের সুশৃঙ্খল নেতৃত্ব, পরিকল্পনা আর তৎপরতায় এই সাফল্যে এসেছে বলে প্রশাসনিক  মহলের দাবি। গতবারের মতো দুমাস ধরে নয় বরং গতবারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবারে একমাস সময়ে বেশিসংখ্যক মানুষ এই পরিষেবা পেল। জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বিলেন, জেলার মানুষকে সুস্থ স্বাভাবিক পরিষেবা দিতেই নানা পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরিষেবা দেওয়ার শতাংশের হিসেবে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পে রাজ্যে প্রথম হয়েছে কোচবিহার জেলা।

সরকারী পরিষেবা সরাসরি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে রাজ্য সরকার ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের পরিকল্পনা নেয়। প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, ১২ সেপ্টেম্বর অবধি জেলার প্রায় ৪৫ শতাংশ মানুষ ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন। জেলার ২৯ লক্ষ মানুষে মধ্যে ১৩ লক্ষ মানুষ ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের বিভিন্ন ক্যাম্পে এসে পরিষেবা নিয়েছেন। ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্পে প্রায় ১৩ লক্ষ মহিলা আবেদন করেছেন। ঠিক এরপরে ‘স্বাস্থ্য সাথী’ কার্ডের বিষয়ে সব থেকে বেশি খোঁজখবর নিয়েছে সাধারণ মানুষ। জাতিগত শংসাপত্রের বিষয়ে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে জানার জন্য তৎপর ছিলেন সবাই। ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্পের সাড়া পরেছে সর্বাধিক। দুয়ারে সরকারে ৪০ শতাংশের বেশী আবেদন ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করানোর জন্যই হয়েছে।

গতবার ডিসেম্বর মাসে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প শুরু করে রাজ্য সরকার। ফেব্রুয়ারী মাস প্রথম দিক অবধি এই ক্যাম্প চলেছিল। জেলায় ১২০০ ক্যাম্প করা হয়েছিল। জেলার  প্রায় অর্ধেক মানুষ এই পরিষেবা পেয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এইবার আরোও বেশী সংখ্যক মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এবারে মাত্র চার সপ্তাহ ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প চলে। এতে অল্প সময়ের ব্যবধানে জেলার মানুষ সব ধরনের পরিষেবা পায়। যাতে দ্রুত বেশী মানুষকে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয় সেজন্য গতবারের তুলনায় চার গুন বেশী ক্যাম্পের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। জেলা শাসকের নেতৃত্বে সাবেক ছিট মহল, জেলার প্রত্যন্ত প্রান্ত গুলিতেও গুরুত্ব সহকারে ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। সাধারণ মানুষের কাছে বেশি করে পৌঁছাতে  ছোট ছোট করে বেশি সংখ্যক ক্যাম্প করা হয়। কোচবিহারের এই সাফল্যের খাতিয়ানে খুশি জেলার আম জনতাও। তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলাশাসকের উদ্যোগকে।