কোচবিহার পৌরসভা পরিচালিত কোচবিহার রাসমেলায় দূর দূরান্ত থেকে আগত ব্যবসায়ীদের সাথে মেলা নিয়ে বৈঠক করলো কোচবিহার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার পৌরসভার পৌর প্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ উপ পৌর মাতা আমিনা আহমেদ সহ অন্যান্য কাউন্সিলররা। ২১১ বছর পুরোনো কোচবিহার রাসমেলায় শুধুমাত্র কোচবিহার নয় আসাম, ভুটান, বাংলাদেশ, নেপাল, সিকিম থেকেও প্রচুর ব্যবসায়ী আসেন নিজেদের পরসা নিয়ে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও তাদের সাথে এই আলাপচারিতার আয়োজন করেছিল পৌরসভা।
এই আলাপচারিতায় ব্যবসায়ীদের থেকে তাদের অভাব অভিযোগ যেমন উঠে আসে তেমনি উঠে আসে পৌরসভার নতুন কিছু পরিকল্পনা রাস মেলাকে কেন্দ্র করে। ব্যবসায়ীদের অভাব অভিযোগের মধ্যে প্রথম এবং প্রধান অস্থায়ী শৌচাগার প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, রাস মেলা ময়দানের পিছন দিকে একটা ব্লক তৈরি করে দোতলা ফাউন্ডেশন তৈরি করে নিচে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা ১৫-১৫,৩০ টি শৌচালয় এবং দোতালায় স্নানের জায়গা তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত জেলা শাসকের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। দৈনিক প্রচুর মানুষ কোচবিহারে আসেন তাদের বিভিন্ন কাজে, বইমেলা অন্যান্য উৎসব মিটিং সবকিছুই এই রাস মেলা ময়দানে আয়োজিত হয়। সুতরাং এই শৌচাগার একান্ত আবশ্যক। প্রতিদিন রাস মেলা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে ময়দানে কোথাও কোন নোংরা আবর্জনা নেই, আজ থেকে দুবেলায় ওয়াটার ট্যাংক এর মাধ্যমে পানীয় জল সাপ্লাই করা হবে। এদিন ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে মেলা বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন পুলিশ এবং প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে আবেদন জানানোর পরে তারা যা সিদ্ধান্ত দেবে সেভাবেই কাজ হবে।