বিতর্কই মূল বিপত্তির কারণ, পদ থেকে অপসারিত হলেন মহুয়া

বিতর্কের জল গড়ালো অনেক দূর। সরে যেতে হলো নিজের পদ থেকে। অবশেষে অপসারিত হতে হলো সভাপতিকে। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি পদ থেকে অপসারিত মহুয়া দাস। উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ নিয়ে বিতর্কের জেরে অপসারিত হলেন তিনি। এ বছর উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট বিতর্কের জেরেই এই অপসারণ। উচ্চমাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করার সময় মহুয়া দাস জানিয়েছিলেন, উচ্চমাধ্যমিকে সর্বাধিক ৪৯৯ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে মুসলিম কন্যা রুমানা সুলতানা। মেয়েটি যে ইসলাম ধর্মাবলম্বী, একথা বেশ কয়েকবার উচ্চারণ করেন মহুয়া। এই কথাই বিপত্তির কারণ হয়ে ওঠে। চলতি মাসের শেষেই মহুলা দায়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল৷

তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নিতে চলেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য৷ দ্রুত দায়িত্ব গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে তাঁকে৷ এই বিষয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে৷ এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ৪ বছরের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের দায়িত্ব সামলাবেন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য৷ আগামী সোমবার থেকেই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতির দায়িত্ব নেবেন তিনি। চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যকে যাতে দ্রুত রিলিজ করা হয় তার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যায়রের কাছেও আর্জি জানানো হয়েছে৷ দায়িত্ব পাওয়ার পর চিরঞ্জীববাবু জানান, স্কুল শিক্ষা দফতরের অর্ডার তাঁর হাতে এসে পৌঁছবেন৷ সোবাবার সংসদ সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নেবেন৷ 

প্রসঙ্গত, উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধীকারীর পরিচয় দিতে গিয়ে ধর্মের কথা উল্লেখ এবং পরীক্ষা না হওয়া সত্ত্বেও ফলপ্রকাশের পর থেকে একাধিক জায়গায় পড়ুয়াদের বিক্ষোভ, এই দুই কারণের জেরেই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত করা হল মহুয়া দাসকে। বৈঠকের পর এই নির্দেশিকা জারি করা হয়৷