চলতি বছরে রাজ্যের ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই চলছে দল বদলের পালা৷ কংগ্রেস ও গেরুয়া শিবিরে পদত্যাগ করে একে একে যোগ দিচ্ছে রাজ্যের শাসক শিবিরে৷ আবারো তৈরী হলো নতুন জল্পনা৷ কংগ্রেস ছাড়লেন ফরাক্কার পাঁচবারের কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক৷ কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে চিঠি দিয়ে কংগ্রেস সম্পাদক ও ঝাড়খণ্ডের পর্যবেক্ষকের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি৷ জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও দলের তরফে ঝাড়খণ্ডের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন মইনুল হক। বড়ো ভাঙ্গনের মুখে কংগ্রেসে।
এদিকে মইনুল হকের ইস্তফা প্রসঙ্গে অধীরবাবু বলেন, কেন দল ছাড়ছেন তা মইনুলই বলতে পারবেন৷ ইস্তফা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি তিনি৷ উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন পাঁচ বাবের কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক। একদা কাশ্মীর কংগ্রেসের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। বর্তমানে মইনুল ছিলেন ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের দায়িত্বে। কেন দল ছাড়ছেন, এ বিষয়ে আপাতত মুখে কুলুপ তাঁর৷ ২৩ তারিখের আগে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না বলেও জানিয়েছেন নারাজ মইনুল।
৩০ সেপ্টেম্বর জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে ভোট হবে। ২৩ সেপ্টেম্বর জঙ্গিপুরে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শোনা যাচ্ছে ওই দিন তাঁর জঙ্গিপুরের সভায় যোগ দিতে পারেন মইনুল৷ তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন কংগ্রেস নেতাও ওইদিন ঘাসফুল পতাকা হাতে তুলে নিতে পারেন। জেলার বর্ষীয়ান নেতার দলত্যাগ শতাব্দী প্রাচীন দলের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।