মাঝে মাঝে নিয়ন্ত্রণে এলেও আবার বেড়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ। একা করোনায় রক্ষে নেই, তার মধ্যে দোসর আবার মাঙ্কি পক্স। একদিকে যখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনার আতঙ্ক, ঠিক তখনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের বহু দেশে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স। দিন কয়েক আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছিল ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু জায়গায় ইতিমধ্যেই এই সংক্রামিত ভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে।
ক্রমশ বড় হচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এমতাবস্তায় ব্রিটেন স্বাস্থ্য দপ্তর জানাল যে। সেই দেশে ইতিমধ্যেই মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে পাঁচশোর গণ্ডি। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে সেই দেশে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫২৪। সম্প্রতি আরও ৫০ জন নতুন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে এই দেশে। আর তাতেই কার্যত লাফিয়ে বেড়েছে মোট আক্রান্তের সংখ্যা।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সম্প্রতি যে ৫০ জনের শরীরে নতুন করে মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে তার মধ্যে ৩৪ জন স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা, দুজন উত্তর আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা, এবং পাঁচজন ওয়েলসের বাসিন্দা। এক লাফে মাংকি পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা এরকম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন সে দেশের স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই সংক্রমণ রুখতে সরকারের তরফ থেকে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সরকারি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংস্পর্শে আসেন তাহলে যেন তিনি অবশ্যই নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে আরো জানা গেছে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে যতজন আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে অনেকেই সমকামী। হলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার কারণেই মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত সংখ্যা উত্তরোত্তর বাড়ছে। তবে এই সম্পর্কে লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের এক অধ্যাপক জানিয়েছেন, এখনো চূড়ান্ত হবে বলা সম্ভব নয় যে একজন নাগরিক কিভাবে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার নানা কারণ রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে আমাদের মাঙ্কি বক্স নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে।