উঠতে থাকা একাধিক অভিযোগের কারণে, নতুন বছরের শুরু থেকে যেন সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না শিল্পপতি গৌতম আদানির। কারচুপির অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকা থেকে তাঁর পতন শুরু হয়েছে। বিপুল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে শিল্পপতি গৌতম আদানির। এই অবস্থায় আদানি গোষ্ঠী শুধু মানুষকে নয়, রাজ্যের সরকারকেও চিন্তায় ফেলেছে। বিষয় হল, আদানি গোষ্ঠীর এই বিপর্যয়ের সময়ে চাপ বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। কারণ রাজ্যের তাজপুর বন্দর।
গত সেপ্টেবর মাসে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ার ছাড়পত্র আদানি গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছিল। গ্লোবাল টেন্ডারে অংশ নিয়েই এই প্রকল্প গড়ে তোলার বরাত পেয়েছিল আদানি গোষ্ঠী৷ তাঁদের হাতে ইচ্ছাপত্রও তুলে দিয়েছিল সরকার। কথা ছিল মোট বিনিয়োগ হবে ২৫ হাজার কোটি টাকা। তবে এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে এই বিনিয়োগ হওয়া কার্যত সম্ভব নয়। তাজপুরের স্থানীয়রা ভেবেই নিয়েছেন যে এখন এই বন্দর হওয়া অসম্ভবই বটে। জানা গিয়েছে, গত দুর্গাপুজোর আগে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর কিছু আধিকারিক এলাকা পরিদর্শনে এসেছিল। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত আর সেভাবে কিছু কাজ এগোয়নি।
গত ৩১ জানুয়ারি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০ জনের মধ্যে থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন গৌতম আদানি। তার তিন দিনের মধ্যে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের ২০ জনের তালিকা থেকেও ছিটকে গিয়েছেন শিল্পপতি। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২৫ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি খুইয়েছেন। কারচুপি করে সংস্থার শেয়ার দর বাড়ানোর অভিযোগ উঠার পর থেকেই হু হু করে নামতে শুরু করে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম৷