আরো একবার চিন্তা বাড়ছে রাজ্যে৷ প্রশ্ন উঠছে তবে কি এবার সত্যিই আস্তে চলছে তৃতীয় ঢেউ? রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ৷ বুধবার একলাফে আক্রান্তের সংখ্যা ১,১০০ ছুঁয়েছে৷ যা মঙ্গলবারের চেয়ে দ্বিগুণ৷ বৃহস্পতিবার আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ চিন্তায় রাজ্য প্রশাসন৷ সেই সঙ্গে পড়েছে দোটানায়৷ সংক্রমণ রুখতে অবিলম্বে নাইট কার্ফু জারি করা হবে কি? কী করা উচিত? চিন্তায় নবান্ন৷
তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ইতিমধ্যেই শহরের একাধিক ক্লাব বর্ষবরণের উৎসব বাতিল ঘোষণা করেছে। একান্ত প্রশাসনিক বৈঠকে সরকারি আধিকারিকদের একাংশ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন যে, করোনার তৃতীয় ঢেউ চলে এসেছে। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও তৃতীয় ঢেউয়ের কথা ঘোষণা করা হয়নি৷ তবে পড়শি রাজ্য বিহার তৃতীয় ঢেউ আসার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে কঠোর বিধিনিষেধের কথাও বলা হয়েছে। দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্য বর্ষবরণেj উৎসবে রাশ টেনে নাইট কার্ফু জারি করেছে৷ মুম্বইয়ে গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে বর্ষবরণের উৎসবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে কি? নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে কি গঙ্গাসাগর মেলায়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মরসুমি উৎসবে গণজোয়ার সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী৷ এই অবস্থায় রাজ্যবাসী বর্ষবরণের উৎসবে মাতলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে৷ প্রসঙ্গত, বড়দিনের সন্ধ্যায় পার্কস্ট্রিটে যে জনজোয়ার দেখা গিয়েছিল, তা দেখে শিহরিত গোটা দেশ৷ এদিকে দুই মাস পর দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজারের ঘরে পৌঁছে গেল৷ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ১৫৪ জন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও। বর্তমানে দেশে ওমিক্রম আক্রান্ত ৯৬১ জন৷ দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা রাজ্যগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি।