বাড়ছে রাজ্য রাজ্যপালের দ্বন্ধ। কিছুদিন আগেই বাজেট ভাষণ শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে আর্জি করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে বাংলার রাজ্যপালকে অপসারণ করুন, এই ছিল দাবি। তারপর আবার খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বাংলার রাজ্যপালের নামে ‘নালিশ’ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তখন ইঙ্গিতপূর্ণ জবাব পেয়েছিলেন তিনি। এদিন ফের একবার রাজ্যপাল ইস্যুতে সরগরম হল সংসদ। বাজেট অধিবেশন বয়কট করলেন তৃণমূল সাংসদরা।
আজ সংসদে বাংলার রাজ্যপালকে নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। কিন্তু চেয়ারম্যান সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। তারপরেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যসভায় বাজেট অধিবেশন বয়কট করেন ঘাসফুল শিবিরের সাংসদরা। রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করেন তারা। বিগত কিছুদিন ধরেই বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে নিয়ে চরম বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। যেদিন থেকে তিনি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সরাসরি তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে, সেদিন থেকেই আবার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত লেগে যায়। যার জল গড়িয়েছে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সংসদ ভবনে। কিন্তু সেইভাবে এখনও পর্যন্ত এই ইস্যুতে কোনও রকম উত্তর পাননি কেউই। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে কথা হলেও তিনি সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কী বলেছেন তা জানা যায়নি। আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাংসদ সৌগত রায়কে যে উত্তর দিয়েছেন তার অর্থ বোঝাও দায়। তাই এই রাজ্যপাল ইস্যু এখনও চলবে বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।
প্রসঙ্গত, বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপালের অপসারণের আর্জি জানান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাষ্ট্রপতি হেসে তাঁকে কিছু জবাব দেন এবং তার পর সেখান থেকে হেঁটে অন্যদিকে চলে যান৷ অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি জানিয়ে বলেন, জগদীপ ধনখড় নির্বাচিত সরকারকে বিরক্ত করছেন, ওনাকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদ থেকে যেন সরানো হয়। সৌগতর এই কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী মোদী যা উত্তর দিয়েছেন তা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। তিনি তাঁকে বলেছেন, ‘অবসর নিলেই হবে।’