এর আগেও রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অভিযোগের আঙুল উঠেছে বারংবার। এবার গ্রুপ ডি এবং সি নিয়োগে সিবিআই তদন্ত ও বেতন বন্ধের নির্দেশ। নবম- দ্বাদশ স্তরের শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের নির্দেশ, প্রাইমারি চেয়ারম্যানের জরিমানা নির্দেশ, সবকিছু সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়িয়েছে চাকরিজীবীদের। বেকারত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বাংলার। তাই রাজ্য সরকারের ‘ঘুম ভাঙাতে’ আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছে একাংশ। কারণ দুর্নীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারীদের মতে, নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলের দলত্যাগী মন্ত্রীদের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করা এটা প্রমাণ করে এই দুর্নীতির নেপথ্যে রয়েছেন সরকারি আমলা ও নেতা মন্ত্রীদের একটা বড় অংশ। সেই প্রেক্ষিতেই গণকনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়েছিল আজ।
দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত সমস্ত মঞ্চ গুলি ঐক্যবদ্ধ হতে এই গণকনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছিল। যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের আহ্বায়ক মেহেবুব মন্ডল জানান, এই গণকনভেনশন থেকে আমরা নতুনভাবে শপথ নিয়ে বিশিষ্টজনদের পরামর্শ ক্রমে এক নতুন সমাজ গড়ার লড়াই শুরু করতে চাইছি। কারণ অযোগ্য শিক্ষক, অযোগ্য কেরানি, অযোগ্য আমলা সমাজকে ভিতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। যোগ্য মানুষই যোগ্য সমাজ গড়ার কান্ডারী হতে পারে। ভারত সভা হলে আজ এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
তাদের তরফ থেকে জানান হয়েছে, সরকার যখন সচেতন ভাবেই গণ আন্দোলনগুলোকে অগ্রাহ্য করে তখন রাস্তায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলাই একমাত্র রাস্তা। সেই লক্ষেই সরকারের দুর্নীতি এবং সরকারি নিয়োগে সরকারের নিয়োগ বিমুখিনতার বিরুদ্ধে কার্যকরী গণআন্দোলন গড়ে তোলাই এই মুহুর্তে সময়ের দাবী, তাই সকলে সংঘবদ্ধ ভাবে, খোলা মনে একে অপরের হাতে হাত রেখে মিলিত হয়ে বৃহত্তর গণ আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। নবম দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগে দুর্নীতি থেকে শুরু করে পিএসসি, এসএসসি, গ্রুপ সি, ডি সবেতেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে সরকার যথেষ্ট চাপে পড়েছিল। অন্যদিকে আবার ছাত্র আন্দোলন, চাকরিপ্রাথীদের অনশন, শিক্ষিকাদের বিষপানের মতো ঘটনাও দেখেছে বাংলার মানুষ। তাই এই গণকোনভেনশন থেকে আন্দোলনের ডাক দিয়ে কট্টর প্রতিবাদে সামিল হতেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।