ভুয়ো ভ্যাকসিন এবং কালোবাজারি রুখতে চলছে চিরুনি তল্লাশি

করোনা সংক্রমণ রুখতে সব চেয়ে বড় হাতিয়ার টিকাকরণ৷ সেই টিকাকরণ নিয়েই রাজ্যে চলছে জালিয়াতি কান্ড৷ এই ভূয়ো টিকা কাঁদে বিগত কয়েক মাস আগে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য গ্রেফতার হয়েছে বেশ কয়েকজন৷ এবার নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন৷ ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে চিরুনি তল্লাশি শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷ শহরের ১০টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি-র ৭০ জন আধিকারিক৷ ভুয়ো ভ্যাকসিনের কালোবাজারি রুখতেই এই অভিযান৷ এদিন ১১৮/এ শরৎ ঘোষ রোডে ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের বাড়িতেও তল্লাসি অভিযান চালান ইডি আধিকারিকরা। তা

ছাড়া দেবাঞ্জনের আত্মীয়ের বাড়িতেও চালানো হয় তল্লাশি অতিমারী আবহে বিভিন্ন কালোবাজারি, আর্থিক তছরুপ ও ভুয়ো ওষুধের কারবারি মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মোট ছয়টি কেস রুজু করেছে ইডি। তবে শুধু ভ্যাকসিনই নয়, রেমডেসিভির, অক্সিমিটারের কালোবাজারি নিয়েও তদন্ত করছে ইডি৷ বিভিন্ন ভ্যাকসিন ক্যাম্পা হানা দিচ্ছেন তাঁরা৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে কার্যকলাপ৷ ভুয়ো ভ্যাকসিন এবং ভ্যাকসিনের কালোবাজারি রুখতেই এই পদক্ষেপ৷ 

প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটের মাঝেই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল দেবাঞ্জন দেবের নাম। দক্ষিণ কলকাতার কসবায় একটি করোনা টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করেছিল সে। পরে জানা যায়, দেবাঞ্জন আদ্যোন্ত একজন প্রতারক। ভুয়ো পরিচয় দিয়েই টিকাকরণ শিবিরের ব্যবস্থা করেছিল সে। তার সেই শিবিরে এসে টিকা নিয়ে যান সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। বস্তুত, মিমির তৎপরতাতেই প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা। এরপর দেবাঞ্জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় তার এক আত্মীয়কেও। ক্রমে গ্রেফতার হয় আরও অনেকে। দেবাঞ্জন কাণ্ডের পরই যেন কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে ভুয়ো আমলা, আধিকারিক ধরার মরশুম শুরু হয়ে যায়। নীল বাতি লাগানো গাড়িতে চড়ে যারা দিনের পর মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছিল, তাদের অনককেই পাকড়াও করে পুলিশ।