এ যেন দিল্লির সঙ্গে টক্কর। দুর্গাপুরের দূষণের মাত্রা দেখে এমনই বলছেন শহরবাসী। মঙ্গলবার দিনভর দুর্গাপুরে বাতাসের সার্বিক গুণমান সূচক ছিল ৩০০-র অনেক উপরে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তালিকা অনুযায়ী যা ‘খুব খারাপ’। হাওয়া না বওয়ায় এই পরিস্থিতি, মত দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের।
পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ থেকে বাতাসের গুণমান সহজবোধ্য করতে সূচক নির্ধারণ শুরু হয়। বাতাসের গুণমান সূচক ০-৫০ হলে তা ভাল। ৫১-১০০ সন্তোষজনক। সূচক ১০১-২০০ হলে তা মাঝারি মানের। সূচক ২০১-৩০০ হলে খারাপ এবং ৩০১-৪০০ হলে খুব খারাপ পর্যায়ে পড়ে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আঞ্চলিক চিফ ইঞ্জিনিয়ার অরূপ দে বলেন, ‘‘দুর্গাপুরের কোথাও কোথাও সূচক প্রায় ৪০০-র উপরে চলে গিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। হাওয়া না থাকায় ধূলিকণা জমে রয়েছে। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে।’’
দুর্গাপুরে গত কয়েক বছরে বহু কল-কারখানায় উৎপাদনের মাত্রা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে, বাতাসে ক্ষতিকর গ্যাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে মাথাব্যথার কারণ হল বাতাসে ভাসমান বিপজ্জনক মাইক্রোমিটারের ছোট আকারের ভাসমান ধূলিকণা -এর মাত্রাতিরিক্ত হার। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, শহরের ভিতর দিয়ে যাওয়া জাতীয় সড়ক, শহর জুড়ে নানা নির্মাণকাজ, কারখানার দূষণ, যানবাহনের দূষণ ইত্যাদি কারণে বাতাসে ধূলিকণার হার বরাবর বেশি দুর্গাপুরে। এর ফলে ফুসফুস, হৃদযন্ত্রের রোগী এবং বয়স্ক ও শিশুদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বাড়ে বলে চিকিৎসকেরা জানান।