একুশে বিধানসভা ভোট আবহে ঘটেছিল এই দুর্ঘটনা। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরে এখনো চলছে তার সত্ততার অভিযান। শীতলকুচি গুলিকাণ্ডের তদন্তে তৎপরতা আরও বাড়াল রাজ্য। সোমবার নয়া মোড় নিল শীতলকুচি কাণ্ড। শীতলকুচিতে গুলিকাণ্ডে এবার কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপারকে তলব করল সিআইডি। আগামী ১৮ তারিখ বেলা ১১টা নাগাদ তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে ভবানীভবনে। শীতলকুচিতে যখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজন প্রাণ হারিয়েছেন তখন এই পুলিশ সুপার দেবাশীষ ধর পুলিশ সুপারের পদে ছিলেন। তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখতেই এই জেরা বলে খবর সিআইডি সূত্রে। বিধানসভা ভোটের চতুর্থ দফায় গত ১০ এপ্রিল, কোচবিহারে বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে শীতলকুচিতে। কোচবিহারের শীতলকুচিতে বুথে গুলি চালায় আধাসেনা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দাবি ছিল, বুথে তাঁদের ঘিরে ধরা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গুলিতে চারজন ভোটার নিহত হন।
সম্প্রতি শীতলকুচিতে গিয়েছিল সিআইডি’র ফরেনসিক ব্যালেস্টিক টিম। তাঁরা নানা নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। সেই নমুনা সংগ্রহের পরই প্রাক্তন সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ সুপার দেবাশীষ ধরকে সমন পাঠিয়ে তলব করা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পরেই শীতলকুচি কাণ্ডের তদন্তের জন্য বিশেষ দল তৈরির নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।