এমনিতেই করলা নদীর ভারসাম্য এবং জীব বৈচিত্র্য নিয়ে মাথায় হাত মৎস দপ্তর থেকে শুরু করে পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের মানুষদের। তার উপর নদীর মধ্যে বেড়ে ওঠা কচুরিপানায় নাভিশ্বাস খোদ নদীরই। গোদের উপর বিশ ফোড়া এবার চায়না নেট। শুক্রবার সকালে করলার সমাজপাড়া ঘাট সংলগ্ন নদীবক্ষ থেকে উদ্ধার হলো চায়না নেট। এদিন সকালে জলপাইগুড়ি শহরের একটি সমাজ সেবী সংগঠনের তরফে এই নেট উদ্ধার করা হয়।
জানা গিয়েছে এই নেটে নদীর বড় মাছের সাথে সব ধরনের ছোট এবং গভীর জলে থাকা মাছও আটকে যায়। ফলে জলের জীব বৈচিত্র্য ক্ষতি পেতে পারে। এমনকি নির্মূল হয়ে যেতে পারে মাছের প্রজন্মও। তবে কে বা কারা এই নেট লাগিয়েছে তার হদিস মেলেনি। এর আগে এধরনের মাছ ধরার জাল করলার বুকে মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে।
পরিবেশ প্রেমী সংগঠনের সদস্য জয়ন্ত কর বলেন, আমরা কিছুদিন ধরেই খবর পাচ্ছিলাম যে এই ধরনের নেটের সাহায্য করলায় মৎস শিকার চলছে। আজ আমরা এসে সেটা উদ্ধার করি এবং মৎস দপ্তরের হাতে সেই জাল তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।আগামীতে এই বিষয়গুলোর যাতে খেয়াল রাখা হয় সেবিষয়েও আবেদন জানানো হয়।