ভারতীয় ওষুদের জেরে মৃত্যু শিশুর

ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো আরও একবার। গাম্বিয়ার পর ভারতের তৈরি কাশির ওষুধ খেয়ে উজবেকিস্তানে ১৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এমন দাবি উঠেছে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে নয়ডার ‘ম্যারিয়ন বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেড’-এর কাজ আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল ভারত সরকার। এখানে ওষুধ উৎপাদন আপাতত বন্ধ বলেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।

গাম্বিয়ার ঘটনার পর ভারতের তরফ থেকে জানান হয়েছিল কাফ সিরাপের নমুনা পরীরক্ষার রিপোর্টে ‘বিপজ্জনক’ কিছু মেলেনি। কিন্তু উজবেকিস্তানের ঘটনা আবার যেন অস্বস্তি তৈরি করেছে ভারতীয় ওষুধ কোম্পানিগুলির জন্য। উজবেক সরকার জানিয়েছে, ভারতীয় ওই কফ সিরাপ অত্যাধিক পরিমাণ খেয়ে ১৮ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ওই কফ সিরাপে ইথাইল গ্লাইকলের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। যদিও তাঁরা এটাও মেনে নিয়েছে যে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই সেই ওষুধ দেওয়া হয়েছিল শিশুদের।

এদিকে নিজেদের ওষুধ নিয়ে আশাবাদী ম্যারয়ন বায়োটেকের কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা তদন্তকারীদের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাঁরা অপেক্ষা করবেন। তবে ততদিন কোনও ওষুধ উৎপাদন হবে না। উল্লেখ্য, গাম্বিয়ার ঘটনার পর ভারতীয় ওষুধকে ক্লিনচিট দিয়েছিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। এখন এই ওষুধ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী হয় সেটাই দেখার।