আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হলেন ছত্রধর

হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হলেন তিনি। অন্তবর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার ঠিক আগের দিন অসুস্থ হয়ে পড়লেন তিনি। দুই ছেলের বিয়ে উপলক্ষে শর্ত সাপেক্ষে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো। তাঁর আবেদন মঞ্জুরও হয়েছিল। যার ফলে ২ জুলাই থেকে লালগড়ের আমলিয়া গ্রামেই ছিলেন এই তৃণমূল নেতা৷

আচমকাই প্রচণ্ড বুকে ব্যথা শুরু হয় তাঁর৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে তাঁর জন্য মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়৷ কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার মধ্য রাতেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় ছত্রধরকে৷

দুই ছেলে দেবীপ্রসাদ ও ধৃতিপ্রসাদ মাহাতোর বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল ৩ জুলাই এবং ৫ জুলাই। ৬ জুলাই ছিল প্রীতিভোজ। সেই উপলক্ষে অন্তর্বর্তী জামিন নিয়ে ২ জুলাই বাড়িতে এসেছিলেন ছত্রধর৷ তবে কড়া নির্দেশ ছিল, প্রতিদিন লালগড় থানায় হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। তাছাড়া কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলা যাবে না। কোনও সাক্ষীকে প্রভাবিত করা যাবে না। ৮ জুলাই কলকাতায় বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে হবে৷ কিন্তু তাঁর আগেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন ছত্রধর৷

পরিবার সূত্রে খবর, বুধবার বিকেল থেকেই অস্বস্তি হচ্ছিল তাঁর৷ বুকে ব্যথাও অনুভব করেন৷ রাতভর ঘুমাতে পারেননি৷ এর পর সকাল হতেই তাঁকে লালগড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু, প্রাথমিক চিকিৎসার পর সেখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ বাড়ি ফিরলেও অস্বস্তি ছিল৷

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ফের বুকে ব্যথা শুরু হলে তাঁকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয় তাঁকে৷ কিন্তু, অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় ঝুঁকি নিতে চাননি চিকিৎসকরা৷ তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়৷

প্রসঙ্গত, গতবছর বিধানসভা ভোটের সময় লালগড় থানার অন্তর্গত আমলিয়া গ্রামে তাঁর বাড়ি থেকে ছত্রধর মাহাতোকে আটক করে এনআইএ-র একটি দল। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে এই ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র দেখছে বিজেপি৷ তাঁদের কথায়, এটা তৃণমূলের ট্র্যাডিশন৷