বাংলা ভাগ নিয়ে সুর চড়ালেন অর্থমন্ত্রী। রাজ্য সরকার বাংলা ভাগের দাবি কখনোই মেনে নেবে না। বিধানসভায় ব্যয় মঞ্জুরি প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে জবাবী ভাষণে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই কথা আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন। বিধানসভায় ব্যয় মঞ্জুরি প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণু প্রসাদ শর্মা উত্তরবঙ্গকে ভেঙে পৃথক জেলা করার প্রসঙ্গ তোলেন। তাঁর জবাবে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, বিজেপি রাজ্য ভাগের চক্রান্ত করছে। তা কখনোই সফল হতে দেওয়া হবে না। পাহাড়ের বঞ্চনা প্রসঙ্গে বিজেপির পাল্টা সমালোচনা করে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বারবার পাহাড়ে যান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কত বার সেখানে গিয়েছেন বিজেপি আগে সেই প্রশ্নের জবাব দিক।
বলা যায় সর্ব প্রথম বাংলা ভাগের দাবি তুলে শোরগোল ফেলেছিলেন বিজেপি সাংসদ জন বার্লা৷ উত্তরবঙ্গের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে তাকে আলাদা রাজ্য হিসেবে ভাগ করে দেওয়ার দাবি তোলা হয়। জনের দাবি অনেকে বিজেপি কর্মী না নেতা সমর্থন করলেও বঙ্গ নেতাদের একাংশই অস্বস্তিতে পড়ে। তৎকালীন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সেই দাবি সমর্থন করেছিলেন। তবে দলের বাকি নেতাদের গলায় একেবারেই ভিন্ন সুর ছিল। লকেট থেকে শুরু করে রাহুল সকলেই বাংলা অটুট রাখার কথা বলেন। কিন্তু এই ইস্যুতে তখন ব্যাপক ঝড় উঠেছিল। সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকও বঙ্গভঙ্গের দাবিতে সরব হন।
এই ইস্যুতে মুখ খুলতে দেখা যায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। বিধানসভায় ‘বঙ্গভঙ্গ’ ইস্যু নিয়ে তিনি বলেছিলেন, উত্তরবঙ্গে উন্নয়ন কী হয়নি! কিছু বাকি নেই। যারা উত্তরবঙ্গ ভাগ করে দাও, পাহাড় ভাগ করে দাও বলছে, তাদের বলছি বাংলা ভাগ করতে দেব না। আমরা ভাগাভাগির রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। তাঁর কথায়, নরেন্দ্র মোদীর সরকার, মিথ্যবাদির সরকার।