রাজপরিবার ও জমিদার বাড়ীর দেবী চণ্ডী আজ সর্বজনীন

রাজার উদ্যোগে একটি পুজো শুরু হয় । অন্য পুজোটি শুরু করেছিলেন স্থানীয় জমিদার। মালদহের চাঁচলের ভাকরি পঞ্চায়েতের উত্তর সিংহপাড়া ও ডুমরো মিশ্র বাড়ির পুজোকে ঘিরে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা।বর্তমানে মিশ্রবাড়ির পুজো করেন জমিদারের উত্তরপুরুষরা। তবে পারিবারিক হলেও এখন তা সর্বজনীন হয়ে উঠেছে। আর রাজার প্রতিষ্ঠিত সিংহাপাড়ার পুজো করেন স্থানীও জনসাধারণ ।

ডুমরো মিশ্র বাড়ির পুজোর সূচনা করেছিলেন জমিদার গোলকনাথ মিশ্র। মহালয়ার পরদিন প্রতিপদে পুজো শুরু হয়। পুজোর ক’দিন ধরে খাওয়ানো হয় এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে। সপ্তমী থেকে চার দিন ধরে বসে জমজমাট মেলা। ওই পুজোকে ঘিরে মেতে ওঠেন লাগোয়া ১০টি এলাকার মানুষ। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সন্ন্যাস নিয়ে বাড়ি ছাড়ার ২৫ বছর বাদে গোলকনাথকে এক দিন দেখে ফেলেন চাঁচলের রানি দাক্ষায়নী। রানির নির্দেশে ডুমরোয় জমিদারি দিয়ে সেখানেই থাকার বন্দোবস্ত হয় গোলকনাথের। জমিদারি লাভ করে স্থানীয়দের কথা ভেবে ১৬৩ বছর আগে পুজো শুরু করেন গোলকনাথ।

অপর দিকে সিংহাপাড়ার পুজোয় দেবী চতুর্ভুজা পূজিতা হন চণ্ডীরূপে। পুজো শুরু করেছিলেন চাঁচলের রাজা শরৎচন্দ্র। ওই এলাকায় রাজার কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন নেহাল সিংহ। একবার পুজোর আগে রাজা সেখানে যান । এলাকায় পুজো না হওয়ায় তাদের বিষণ্ণতার কথা রাজাকে জানান স্থানীয়েরা।শুরু হয়  রাজার উদ্যোগে পুজো। রাজা কিছু জমি দান করেন। তাতে ধান, পাট চাষ হয়। সেই ফসল বিক্রির টাকা থেকেই করা হয় পুজোর আয়োজন। দুটি পুজোতেই পাঁঠা বলি দেওয়ার প্রথা আজও বহাল রয়েছে।