শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের তরফে

আরো একবার খবরের শিরোনামে এলো রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া। গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আজ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করল রাজ্য সরকার। গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগে দুর্নীতি বিষয়ে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন। আজ সেই বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছে রাজ্য। মামলা আংশিক গ্রহণ করলো ডিভিশন বেঞ্চ। নথি দিয়ে আবেদনের নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের। আগামীকাল এই মামলার শুনানি হতে পারে।

স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি পদে কর্মী নিয়োগ নিয়ে চরম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রেক্ষিতেই তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছিল আদালত। এদিকে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে এসএসসি’র জারি করা আসল সুপারিশ পত্র নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত৷ পর্ষদের হলফনামায় বলা হয়, আসল সুপারিশপত্র নেই৷ সেটা কী ভাবে সম্ভব? তাই নিয়ে হতবাক হাইকোর্ট৷ পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয়, আগামী ২১ ডিসেম্বর সিবিআই প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। তার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত। সেই সময়ে এই বিষয় তদন্ত করবে সিবিআই। তবে সিঙ্গলবেঞ্চের এই রায়ের বিরুদ্ধেই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য সরকার। আসলে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যখন হলফনামা দেয়, তাতে বলা হয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে নির্দিষ্ট সুপারিশ মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু তার আসল কপি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ এর পরেই বিস্ময় প্রকাশ করে হাইকোর্ট৷  

আপার প্রাইমারি প্যানেলেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। রাজ্য প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জানিয়েছে যে তারা তদন্ত শুরু করেছে। ২০১৬ আপার প্রাইমারিতে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের যে তালিকা পাওয়া গেছে সেখানে সিডিউল ট্রাইব তালিকায় মন্ডল, মাহাতো ইত্যাদি পদবির পরীক্ষার্থীরাও জায়গা পেয়েছেন। মামলাকারীর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট গাইডলাইন আছে কারা এসসি তালিকার অন্তর্ভুক্ত সে বিষয়ে। এমনকি সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী, মাহাতোদের যাতে এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায় সেজন্য কেন্দ্রকে চিঠি লেখেন। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। মামলাকারীর আইনজীবী দেবজ্যোতি বসু বলেন, অন্তত ৭৫ জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আছে।  কুর্মি ও মাহাতো এরাই শুধু এসটি। অন্য ক্যাটাগরির পরীক্ষার্থীদের কেন জায়গা দেওয়া হয়েছে? রাজ্য জানিয়েছে তারা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।