পুজোর মুখে সীমান্তবর্তী শহরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, যাত্রীরা সুরক্ষিত থাকে সেই কারণে বনগাঁ থেকে দক্ষিণেশ্বর গামী ডিএন ৪৪ বাসে পরীক্ষামূলকভাবে লাগানো হল সিসিটিভি ক্যামেরা।যাত্রীদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে বনগাঁ তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়নের এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। বনগাঁ থেকে দক্ষিণেশ্বর অনেকটাই রাস্তা। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পূজার সময় কোনও যাত্রী যাতে হেনস্থার শিকার না বা কারোর দ্বারা কেউ প্রতারিত না হয় সেই উদ্দেশ্যে পরীক্ষামূলকভাবে একটি বাসে সিসিটিভির ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পুজোর সময় সীমান্তবর্তী শহর থেকে বহু মানুষ কলকাতার শহরতলী অভিমুখী হয় ঠাকুর দেখার পাশাপাশি শহরে আনন্দ উপভোগ করতে। তাই যাত্রীরা যাতে সুরক্ষিত থাকে সেই কারণে এই সিসিটিভি লাগানো।
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল আইএনটিটিইউসির সভাপতি নারায়ণ ঘোষ জানান, বনগাঁ থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত ২০০৯ সাল থেকে ডিএন ৪৪ বাস পরিষেবা দিয়ে চলেছে। বনগাঁ শহর থেকে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত ৬ কিলোমিটার। তাই পুজোর মুখে যাত্রীদের নিরাপত্তার মজবুত করতে এবং শ্রমিকরা যাতে সুরক্ষিত থাকে সেই উদ্দেশ্যে এই সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। মালিক সমিতির বৈঠকের পরে ৩৮ টি ডিএন ৪৪ বাসে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হবে বলে তিনি জানান। আর এর ফলে যাত্রীরা অত্যন্ত খুশি আনন্দিত।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের সব জেলায় পুজোয় মেতে উঠেছে। সর্বত্রই ঢাকের আওয়াজ, উমা মাকে দেখতে সেজেগুজে ইতিমধ্যে প্যান্ডেল হপিং অনেকেই শুরু করে দিয়েছেন। এর মধ্যে শহর কলকাতায় একাধিক বড় পুজো অন্যতম আকর্ষন। থিম পুজো দেখতে প্রতিবছরই এভাবেই জেলা থেকে কলকাতায় পাড়ি দেন রাজ্যবাসী। বাসে করে আসেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে যাত্রীরা। কিন্তু অনেক সময়ই এই আনন্দের মাঝেই এসে পড়ে বিষাদের সুর। পুজো দিতে গিয়ে হোক, বা পুজো দেখতে গিয়ে, বাসে হেনস্থা শিকার হন যাত্রী, এমন অভিযোগ প্রায় প্রতিবছরই উঠে আসে। তবে বাইশের পুজোয় যেনও তেমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তাই এবার আগাম প্রস্তুত প্রশাসন। পুলিশি নিরাপত্তা তো বটেই, তবে তার সঙ্গে এবার দোসর, বাসের সিসিটিভি ক্যামেরার চোখ। কোনওরকম হেনস্থা যাতে না ঘটে, তাই এবার পরীক্ষামূলকভাবে বনগাঁ থেকে দক্ষিণেশ্বর গামী ডিএন ৪৪-র একটি বাসে সিসিটিভির ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।