গরুপাচার কাণ্ডে জর্জরিত অনুব্রত মণ্ডল, রয়েছেন সিবিআইয়ের হেফাজতে ৷ কেষ্টর পর এবার অনুব্রত ও সুকন্যা মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের। জানা যাচ্ছে, ৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল পৌঁঁছয় গায়েন বাড়িতে। তল্লাশি চালানো হয় তাঁর বাড়িতে।
প্রসঙ্গত, অনুব্রতকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার পর থেকেই বিদ্যুতের নাম চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। তিনি অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এলাকায়। রবিবার তাঁরই বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই-এর একটি প্রতিনিধি দল।
উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলকে হেফাজতে নেওয়ার পর থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছে বিদ্যুৎবরণকে নিয়ে। তবে একা অনুব্রত নন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মন্ডলের সঙ্গেও তাঁর অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এই বিদ্যুৎবরণ গায়েন একজন পুরোকর্মী।
রবিবার বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ বিদ্যুৎবরণের বোলপুরের বাড়িতে মোট চারজন সিবিআই আধিকারিক গিয়েছিলেন। তবে বাড়িতে ওই ব্যক্তি রয়েছেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ অনুব্রতর গ্রেফতারির পর থেকেই এলাকায় ওই ব্যক্তিকে আর দেখা যায়নি।
সিবিআই সূত্রে খবর বিদ্যুৎবরণের আশেপাশের বেশ কিছু জমিজমা সংক্রান্ত তথ্য হাতে এসেছে সিবিআই আধিকারিকদের কাছে। সেই সম্পর্কে নথি সংগ্রহ করতেই এদিন দুপুর থেকে বিদ্যুৎবরণের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। তবে তল্লাশি প্রসঙ্গে এখনো সিবিআইয়ের তরফ থেকে সরকারিভাবে কিছু জানা যায়নি।
অন্যদিকে, স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে বোলপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করতেন বিদ্যুৎবরণ। কিন্তু ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেই তাঁর সেই চাকরি স্থায়ী হয়। এরপর থেকেই অনুব্রতের সঙ্গে প্রায় সব জায়গাতেই দেখা গিয়েছিল বোলপুরের বাসিন্দা এই ব্যক্তিকে।
সিবিআই ইতিমধ্যেই অনুব্রতর নামে যে সমস্ত কোম্পানিগুলির হদিশ পেয়েছে তাতে প্রথম ডিরেক্টর হিসাবে নাম রয়েছে সুকন্যার। দ্বিতীয়তেই নাম রয়েছে এই বিদ্যুৎবরণের। ফলে অনুব্রতকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার পরেই তাঁর দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
অন্যদিকে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মন্ডলের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলেও বিদ্যুৎবরণের একাধিক ছবি পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। সূত্রের খবর অনুব্রতকে নাকি বাবা বলে ডাকতেন বিদ্যুৎ।