রথযাত্রার উৎস সন্ধানে

রথযাত্রার উৎস সন্ধানে

হিন্দুদের বিভিন্ন পূজা পার্বণের মধ্যে রথযাত্রার উৎসব একটি প্রসিদ্ধ উৎসব। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে এই রথযাত্রার অনুষ্ঠিত হয়। শুক্লা একাদশীর দিন পুনর্যাত্রা বা উল্টো রথ হয়। হিন্দুরা রথযাত্রার দিন পুণ্যার্জনের জন্য রথের দড়ি টেনে থাকেন। তাদের বিশ্বাস রথের দিন শ্রী শ্রী জগন্নাথ বা শ্রীকৃষ্ণকে দর্শন করলে আর পুনর্জন্ম হয় না। বাংলা তথা ভারতের সর্বত্রই রথযাত্রার উৎসব উদযাপিত হয়। এর মধ্যে হুগলী জেলার মাহেশের রথযাত্রা, মায়া পুরের ইস্কনের রথযাত্রা, ওড়িশার পুরীর শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উল্লেখযোগ্য। রথযাত্রার উৎসবের প্রথম দিকে কিন্তু জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা বা শ্রী কৃষ্ণের রথযাত্রা বলা হতো না। বলা হত মৎস্যেন্দ্রনাথের রথযাত্রা। তবে কে এই মৎস্যেন্দ্রনাথ!অনেক…
Read More
বাংলা উপন্যাস সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ

বাংলা উপন্যাস সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ

ইংরেজি সাহিত্যের প্রভাবে ভারতীয় অন্যান্য ভাষার সাহিত্যে যে নতুন ঘরানার সাহিত্য মূলত বিকাশ লাভ করেছিল তার মধ্যে উপন্যাসে ছিল প্রধানতম।বাংলা সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের(১৮৩৮-৯৪) পর সম্পূর্ণ এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল।ঐতিহাসিক উপন্যাসের আঙ্গিক থেকে বেরিয়ে বাংলা উপন্যাসের নতুন কায়াকে যিনি গঠন করেছিলেন তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(১৮৬১-১৯৪১)। সামাজিক উপন্যাসের সূক্ষ্মতর ও ব্যাপকতর ব্যবস্থার প্রবর্তন করে রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্য ও সমাজকে বা উপন্যাসের ইতিহাসকে পুনর্নির্মাণ করেছিলেন।বাংলা উপন্যাসের বাস্তবতার যে গভীরতর পরিণতি দেখা গিয়েছিল তার প্রথম সূচক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ।"রোমান্স ও ইতিহাস" এই দুটি বিষয়কে দূরে সরিয়ে বাস্তব জীবনের শক্ত জমির উপরে রবীন্দ্রনাথ নিজ স্বাতন্ত্র্যকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।উল্লেখ্য যে রবীন্দ্রনাথের পূর্বসূরী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সাহিত্য জীবনের শেষদিকে মানবচরিত্রের…
Read More
বন্দীত্বের ঘরে অসুখ

বন্দীত্বের ঘরে অসুখ

জ্বলছে দুচোখ আলোআঁধারিতে অসুখে পুড়ছে মাটিসূর্যডুবির সমাপ্তি রেখায় একাকী আমরা হাঁটিবন্দীত্বের চোরাকুঠুরিতে মানুষ জমানো আছেবেঁচে আছে কী পথিকের দল চেনা পৃথিবীর কাছে ……… বহুদিন দরজার সামনে কোনো চেনা মুখ দেখিনি| হাত ধরাধরি করে নীলেসাদায় পোশাক পরে কচিকাচালিদের রাস্তা পার হতে দেখিনি বহুমাস| আমার মন খারাপের মেঘ বড় অভিমানী| গুমরে মরলেও বৃষ্টি হতে চাই না| বন্দীত্বের ঘরে অসুখ সাজিয়ে রান্নাবাটি খেলার স্মৃতি রোমন্থন করে পাহাড়ের বুকে জমিয়ে রাখে বিষন্নতার অসহ্য যন্ত্রণা | দেখতে দেখতে বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ আষাঢ় ,শ্রাবন পার হয়ে যায়| শেষ হয়ে যায় একটি বছর | কত ঘেঁটু ফুল অকালেই ঝরে যায়| আগুন রঙের পলাশের বুকে প্রখর রোদ নেমে আসে…
Read More
কৈলাসে ফেরা

কৈলাসে ফেরা

মা দুর্গা প্রায় ঘন্টা খানেক আগেই পৌছে গেছেন তাঁর স্বামীর বাড়ি, কৈলাসে।আজ মায়ের আরেক রুপ। তাঁর ছেলে মেয়েরা মায়ের সাথে কথা বলার সাহস পাচ্ছেন না। কারণ ভীষণ মন খারাপ মায়ের। বাবাবাড়ী থেকে ফিরে প্রতিবারই মন খারাপ থাকে কিছুসময় তাঁর, কিন্তু আজকের পরিস্থিতি কিছুটা থমথমে। কাপড়চোপড়ও বদল করেননি। সেই যে বসে আছেন, আছেনই। কথাবার্তা বন্ধ। চোখের তারায় কষ্টের রেখা আর ক্ষোভের আগুন দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট। এ কদিনের অগোছালো সংসার পরিপাটি করারও কোন তাড়া নেই। কি এক বিমর্ষতা আর অস্ফুট দুঃখের জ্বালায় মুখখানা তপ্ত শিখার মতো জ্বলেই যাচ্ছে। প্রিয় পুত্র গনেশের ক্ষুধার বিষয়েও আজ মা নির্লিপ্ত। দিদিরা যা পারছেন করছেন কোনমতে। সকলেই…
Read More
ব্যথা

ব্যথা

আচার খাবি?মন্দ হয় না, আছে ?হ্যাঁ হ্যাঁতোর পিসে খুব পছন্দ করে বলে বানানোই থাকেছুট্টে গিয়ে রান্না ঘরের সেল্ফ থেকে আচার নামাতেইআর্তনাদ শুনলামকোমরে হাত দিয়ে পিসিমা তখন বেঁকে দাঁড়িয়ে পড়েছেকোনোভাবে এসে বিছানায়রইলো পরে আমের আচাররইলো পরে পিসির বাড়ির চিকেন ঝোল আর বাসমতিএকটু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখলাম মাসল স্প্যাসম বলেই মনে হলো।বেডরুম থেকে বেরিয়ে আসতেই শুনলামতুই খেয়ে যাস কিন্তু, আমি কদিনেই ঠিক হয়ে যাবো কোমরে ব্যথা কার না নেই ? তবে কুড়ি বছর বয়সে যে কোমরের ব্যথা কে আমরা হারিয়ে দিতে পারি রাতে ঘুমোলেই, সেখানে ৫০ পেরোলেই কোমরের ব্যথা চিরসাথী হয় অনেকেরই। ২০১০ সালের এক গবেষণায় জানা গেছে মানুষের প্রায় ৩০০ টি…
Read More
কোচবিহার জেলায় ভেষজ চাষ ও সম্ভাবনা

কোচবিহার জেলায় ভেষজ চাষ ও সম্ভাবনা

ভেষজ উদ্ভিদ হিমালয় পর্বত শ্রেণি এবং সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে স্বাভাবিক উদ্ভিদ হিসেবে জন্মায়। এ অঞ্চলে অনেক প্রজাতির ভেষজ জন্মায়। ভেষজ সম্বন্ধে একটি কথা ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে— চিনলে জড়ি, না চিনলে খড়ি। অর্থাৎ চিনলে ভেষজ হিসেবে সব উদ্ভিদই জড়ির মত মূল্যবান। কিন্তু না চিনলে তা নিছক খড়ি বা জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কোচবিহারের ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য। কোচবিহার জেলায় ভেষজ উদ্ভিদ বাড়ির আশপাশে,জঙ্গলে এমনিতেই পাওয়া যায়। ঐগুলির বাণিজ্যিক চাষ কোনও কালেই হয় নি। রাজ আমলে কোচবিহার শহরে কবিরাজী বাগান গড়ে তোলা হয়েছিল। দুঃখের বিষয় মূল্যবান ভেষজ সমৃদ্ধ বাগানটি এখন বাদুড় বাগান নামে পরিচিত। আশেপাশের মানুষরা এখানে বর্জ্য ফেলে। বাগানটির অনেক অংশ জবরদখল…
Read More
মোনালিসা ও কিছু অজানা তথ্য

মোনালিসা ও কিছু অজানা তথ্য

বিখ্যাত চিত্রকর লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ১৫০৩ থেকে ১৫০৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে এই রহস্যময় চিত্রটি আঁকেন। প্রায় চারবছর লেগেছিল তাঁর এই ছবিটি আঁকতে। 'মোনালিসা' ছবিটির মূল্য নির্ধারণ করা হয় প্রায় ৮৩০ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু, মোনালিসার এই চিত্রটি এতো ব্যয়বহুল হওয়ার নেপথ্যে কারণ কী? এই রহস্যের সমাধান করা কিন্তু আজ পর্যন্ত সম্ভব হয়ে ওঠেনি। অনেকের মতেই তার আঁকা বিখ্যাত এই চিত্র “মোনালিসা” ছিল ফ্লোরেন্সের তৎকালীন একজন সিল্ক ব্যবসায়ীর স্ত্রী লিসা গেরারদিনের পোর্ট্রেট। আবার অনেকেই মনে করেন লিওনার্দো তাঁর কল্পনা থেকেই এই ছবিটি এঁকেছিলেন। পূর্ণভাবে রহস্যে ঘেরা এই মোনালিসার চিত্রটি। ছবিটি বিভিন্ন দিক থেকে দেখলে বিভিন্ন রকম মনে হয়। দূর থেকে চিত্রটি দেখলে…
Read More
মা আসছেন

মা আসছেন

"আশ্বিনের শারদ প্রাতে…." এক জলদগম্ভীর স্বরে হয়তো ব্যারিটোন গলায় নয়, কিন্তু বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের গলায় সেই আওয়াজ কানে আসা মাত্রই বাঙালির স্বপনে মননে যে উৎসবের জন্যে সারাবছর অপেক্ষা, তা শুরু হয়ে যায়। রাস্তার ধারে ধারে কাশের বনের ভিতর দিয়ে যে আকাশের দিকে তাকিয়ে যে শরতের পেঁজা তুলোর মতো মেঘের খেলা দেখতে দেখতে কখন যে অপু দুর্গার মতো আমাদের বয়েস ও বেড়ে গেলো তা টের ও পাই না। তাই দুর্গা পূজা বাঙালির চেতনায় এবং সংস্কৃতিতে এক অপরিসীম উৎকর্ষের সূচনা করে। কারণ মা আসছেন। বাঙালির এই প্রাণের পূজা এই বঙ্গদেশে কবে শুরু হয়েছিল তা নিয়ে নানা মতবিরোধ থাকলেও, মোটামুটি ভাবে বলা যায়…
Read More
লকডাউন থেকে বাংলাভাষার পরিত্রাণ চাই

লকডাউন থেকে বাংলাভাষার পরিত্রাণ চাই

স্কুল কলেজ তো এক বছরের ওপর থেকে বন্ধই পড়ে আছে। অফিস-আদালতেও এখন "কার্যত লকডাউন" জারি। এমতাবস্থায় কি ঘরে বসে বসে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? হাঁপিয়ে উঠেছেন মোবাইল আর সোশ্যাল মিডিয়ায়? নিত্যনতুন রান্নাবান্না, ফেসবুক, ইউটিউবেও আর মন বসছে না? তাহলে আর মন বসানোর চেষ্টাও করবেন না। অনেক তো হলো অন্তর্জাল জড়িত ক্রিয়াকর্ম। এবার না হয় একটু অন্য দিকে মনোনিবেশ করা যাক।এই বন্দিদশায় আরো বেশি করে বাঙালি হয়ে ওঠার চেষ্টা করুন তো। মানে, কিছু বাংলা বই, বাংলা সিনেমার সান্নিধ্যে আসুন। না না, নিজেদের জন্য নয়। প্রধানত বাড়ির খুদেটির জন্যই এই পন্থা অবলম্বন করুন আর খুদেটিকে বাংলা নামক সাগরে সাঁতার শেখাতে হলে আপনাকে তো…
Read More
জলপাইগুড়ির রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর বৈশিষ্ট্য

জলপাইগুড়ির রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর বৈশিষ্ট্য

দশভুজা দুর্গার যে মূর্তি 'গন্ধর্বনারায়ণের বংশাবলী'তে কল্পনা করা হয়েছিল, ঐ মূর্তি ধাতুময় হয়ে কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরের সংলগ্ন ভগবতী মন্দিরে স্থাপিত রয়েছে।জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজ এস্টেটের রাজবাড়ির অন্দরমহলে আজও নিত্য পূজিতা হচ্ছেন একই মাতৃমূর্তি।মণ্ডপে যে দশভুজা দুর্গোৎসবের সময়ে আরাধিতা হন, কালের নিয়মে ও আধুনিক যুগের চাহিদায় তা পরিবর্তিত হয়েছে সত্য, ড:চারুচন্দ্র সান‍্যালের লেখায় তা আংশিক প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে।আমার 'রায়কত বংশের রাজর্ষি' বইটিতে ছবির অ্যালবামে আমি ২০০৩ সালে কোচবিহার ও বৈকুন্ঠপুরের প্রাচীনতম দুর্গামূর্তির ফটোকপিটি ছেপেছিলাম।এছাড়াও ২০০২সালে রাজবাড়ির কর্ণধার প্রণতকুমার বসু এবং‌ তদীয় স্ত্রী স্বপ্না বসুর (বর্তমানে প্রয়াতা)সঙ্গে আমি জোড়পাকুড়ি দক্ষিণ পূর্বে খয়েরখাল নামক স্থানে নবমী পুজোর দিন অনুরূপ স্বর্ণ দুর্গার…
Read More
ডিলান

ডিলান

সাহিত্যে নোবেল জয় ব্যাপারটা যেন অপ্রত্যাশিত। কন্ট্রোভার্সি আর কন্ট্রোভার্সি। ডন ডেলিলো, হারুকি মুরাকামি কে ছেড়ে বব ডিলান? সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার! নাহ্, এ নামটা শুধু অপ্রত্যাশিতই ছিল না, অনেকটা অনুচ্চারিতও ছিল।নোবেল কমিটি ডিলানের পক্ষে একটা যুক্তি দাঁড় করিয়েছিলেন, কারণ কমিটিও জানতো, এই পুরস্কারের পক্ষ এবং বিপক্ষ নিয়ে নানা রকমের তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হবে। তাই পুরস্কার ঘোষণার পূর্বে নোবেল দেয়ার শুধু যোগ্যতার ব্যাখ্যাই না, কেন গীতিকার শিল্পী বব ডিলান—সে পক্ষেও যুক্তি দেখিয়েছেন। আর সেসব যুক্তি কিন্তু একেবারে ফেলনা নয়। মনে রাখা যেতে পারে—সাহিত্যের প্রথাগত সীমানা ও ঐতিহ্য ভেঙে নোবেল কমিটি একটা দুঃসাহসী কাজ করেছে, এবং করেছে বলেই কিন্তু এর ফলে সঙ্গীতও তো সাহিত্যের মর্যাদার…
Read More
সংস্কৃতির অঙ্গনে নিউ নরমাল যাপন

সংস্কৃতির অঙ্গনে নিউ নরমাল যাপন

রঙ্গমঞ্চের বর্তমানের প্রথম সারির কুশীলবদের মধ্যে অন্যতম এক নিভৃত আলাপচারিতায় বলেছিলেন যে, ঘন্টা দুয়েকের মঞ্চের লাইভ অ্যাকশন এবং ওই মুহূর্তে দর্শকঠাসা অডিটোরিয়ামের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ায় অবগাহন তাঁর সু-অভিনয়ের অন্যতম অনুঘটক। শুধু নাট্যমঞ্চ কেন, এ কথার প্রতিধ্বনি সংস্কৃতি চর্চার প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রের ধারক-বাহকদের মধ্য থেকেই উঠে আসে। দর্শক-শ্রোতার প্রতিক্রিয়াই তো তাঁদের পারফরমেন্সের উন্নতির চাবিকাঠি। অন্ধকার অডিটোরিয়ামের প্রবল জ্যান্ত আবহাওয়াই তো পারে আলোকোজ্জ্বল, রঙিন মঞ্চে ফুল ফোটাতে। তাহলে ... তাহলে এখন কি? গত প্রায় বছর দেড়েক ধরে এই মানুষের মুখে আনন্দ, সুখ-দুঃখ, রাগ ফুটিয়ে তুলবার কান্ডারীরা কেমন আছেন? কেমন আছে তাঁদের সৃষ্টিশীল মানসিকতারা ? বিশ্বব্যাপী থমকে যাওয়ার মুহূর্তের মাঝে তারাও কি স্থবিরতা-আক্রান্ত হয়েছেন…
Read More
স্বাধীনতার পঁচাত্তর ও হীরক সামন্তের মেটামরফোসিস

স্বাধীনতার পঁচাত্তর ও হীরক সামন্তের মেটামরফোসিস

আমি ভাই সাতে-পাঁচে থাকি না। ঝুট ঝামেলায় জড়াই না। লাফরা দেখলেই যঃ পলায়তি জপে লাফ দিয়ে কেটে পড়ি। পরমহংসের বাণী একটু মডিফাই করে সন্তানদেরও বীজ মন্ত্রে দীক্ষিত করেছি, জীবনে বাঁচো পাঁকাল মাছের মতো। সমাজটাই এখন পাঁকে ভর্তি। তোমার গায়ে যেন পাঁক না লাগে। প্যাঁক-প্যাঁক দেখেছ তো। আরে বাবা প্যাঁক প্যাঁক হল গে হংস মানে হাঁস। তোমরা তো আবার বাংলা বোজো না। হংস হল মহাজ্ঞানী। মহা ধড়িবাজ। দুধে জল মিশিয়ে দাও। জলটা ফেলে রেখে দুধটা ঠিক মেরে দেবে। কী শিখলে? মরাল অব দি স্টোরি কী? সেটা হলো ফোকাসটা ঠিক রাখো। পাঁকে থেকেই পদ্ম হয়ে ফুটে বের হতে চেষ্টা করো। সময়মত ক্রিমটা…
Read More
সংস্কৃতির অঙ্গনে ভাইরাস হামলা

সংস্কৃতির অঙ্গনে ভাইরাস হামলা

বিশ্বে এখন করোনা কাল স্বমহিমায় বিরাজমান। গত বছর ফেব্রুয়ারী থেকে কোভিড-১৯ ভাইরাসের দখলে আমাদের প্রিয় ধরিত্রী।পৃথিবীজুরে লক্ষ লক্ষ মৃত্যুর খবরে প্রথমদিকে সবাই আতঙ্কগ্রস্থ হলেও আজ আমাদের সংবেদনে দরকচা পড়ে গেছে। জায়মান ভাইরাসের দৌলতে মৃত্যুসংবাদ আজ আমাদের আর আন্দোলিত করেনা। ভারতবর্ষে দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর সংক্রমণ ও মৃত্যু আমাদের বহু মানুষের ঘরে ঢুকে মৃত্যু সম্পর্কে আমাদের নতুন বোধে উন্নীত করেছে ইতমধ্যে। আমাদের আবেগতন্ত্রীগুলো কেমন যেন ভোঁতা হয়ে গেছে বিগত দেড় বছরেরও বেশী সময়কাল ধরে। আমরা দেখলাম উন্নত দেশগুলোর ধন-দৌলত, প্রযুক্তি, চিকিৎসা ব্যবস্থা লড়াই করতে ব্যর্থ হোল এই ভাইরাসের বিরূদ্ধে। বিশ্বজুরেই রাজনীতি, অর্থনীতি, উৎপাদন ব্যবস্থা আজ ধ্বস্ত। করোনা ভাইরাস তৃতীয়-চতুর্থ ঢেউ-এ…
Read More