কেন পড়বো বর্ণপরিচয়

কেন পড়বো বর্ণপরিচয়

পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত বর্ণপরিচয় বাংলা বর্ণ,অক্ষর ও বানান বিধি শিক্ষার প্রাথমিক এক পুস্তিকা l শুধু এইটুকু বললে কিন্তু বর্ণপরিচয়ের পরিচয় অসম্পূর্ণই থেকে যায় l শিশুর চরিত্র গঠনে এটি একটি অত্যাবশ্যক পাঠ l যেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে শিশু সহজ সরল সত্যের সাথে জীবন যাপনের মূল্য ও বোধকে আনন্দের সাথে হৃদয়ঙ্গম করে l তবে কি শুধুই শিশু শিখবে? শিশু তো দেখে শিখতে বেশী পছন্দ করে l তাই শিশুর বর্ণপরিচয় পাঠের সাথে সাথে অভিভাবককেও বর্ণপরিচয়ের চর্চা চালিয়ে যেতে হবে জীবনভোর l বর্ণপরিচয়ের সার্থকতা এখানেই l প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে একটা আদর্শকে পরম্পরায় বয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুশীলনী l একদিকে জন্মের পর শিশু যেমন…
Read More
ডায়েট জামাইষষ্ঠী

ডায়েট জামাইষষ্ঠী

- এ মনা, মনা। - কি মা?! - এ মনা মনা! মনা রে?! - কি? - এ মনা, শোন না! - কি মা?! - কার সাথে প্রেম করিস বল না আমায়। জামাইষষ্ঠীতে ওকে নেমন্তন্ন করি। - আমি প্রেম করি না। - তাহলে একটা প্রেম কর! - ইয়ার্কি করছ আমার সাথে সক্কাল সক্কাল?! - ধ্যাৎ! ইয়ার্কি কেন করব?! তুই একটা প্রেম করলে, আমি একটু জামাইষষ্টী করতে পারি আরকি! একটু শাশুড়ি হওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে। - এটা কেমন ইচ্ছে মা?! - কেমন ইচ্ছে মানে আবার কি?! তোর জিন্স কেনার ইচ্ছে হতে পারে, আলুর চপের ওটস্ খাওয়ার ইচ্ছে হতে পারে, আর আমার একটু শাশুড়ি…
Read More
দিনগুলি মোর…

দিনগুলি মোর…

"আজকে বাবা আসুক অফিস থেকে আজ বাদে কাল পরীক্ষা, কোন আক্কেলে খেলতে যাচ্ছিস তুই..?" মা'র বাণীবর্ষণ তীব্র হওয়ার আগেই আমি ব্যাট হাতে হাওয়া। বাড়ির সামনে খেলার মাঠ, আর তাকে ঘিরে চাবাগান। খেলার নেশা প্রবল কিন্তু ট্যাঁক খসিয়ে স্টাম্প কেনার ক্ষমতা নেই কারোর। তাই মাঠে নেমেই শুরু হয়ে যেতো গাছের ডাল কেটে স্টাম্প তৈরির কাজ। খেলতে খেলতে বল কখনো গিয়ে পড়তো বিশুদাদুর ফুলের বাগানে কখনো বা চাবাগানে। চাঁদা দিয়ে কেনা বল। হারালে খেলা বন্ধ। তাই নিয়ম বদল করে ঠিক হতো, বল যদি বিশু দাদুর বাগান অথবা চাবাগানে গিয়ে পড়ে তাহলে সোজা প্যাভিলিয়ন। বাবা ফেরার আগেই মাঠ ছেড়ে পড়ার টেবিলে আসতাম। অপেক্ষায়…
Read More
মদিরাহুত বড়কর্তা

মদিরাহুত বড়কর্তা

জীবনে অনেক হাতির গপ্পোই শুনে থাকবেন কিন্তু মদ্যপ্রিয় বড়কর্তার রঙ্গরসের কথা হয়তো অনেকেই শোনেননি। আদিবাসী সমাজের বিয়ে। যেখানে সামাজিকতার মুখ্য উপাদান হাঁড়িয়া। হাঁড়িয়া এবং খাসির মাংসের ঢালাও বন্দোবস্ত না হলে সে বিয়ে বিয়েই নয়। অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণের একপাশে চলছে হাঁড়িয়ার মোচ্ছব। অন্যপাশে মান্দার, নাগাড়া সহযোগে নৃত্যগীত। আচমকা সভাস্থলে বড়কর্তার আবির্ভাব। দাঁতাল কর্তাবাবা মাঝে মাঝেই দেখা দেন। মাস্তানের মতো এসে বাড়ির কলাটা, কাঁঠালটা, শকর-কান্দা ( এক জাতীয় কন্দ) ধান,আখ যা জোটে হপ্তা তুলে নিয়ে যান। তবে একবার যদি হাঁড়িয়ার গন্ধ নাকে এলো তাহলে আর দেখতে হবে না। "আমি সব ছেড়ে মা ধরবো তোমার রাঙা চরণ দুটি" র মত হাঁড়িয়ার উৎস সন্ধানে মত্ত…
Read More
শব্দ ব্রহ্ম যন্ত্র

শব্দ ব্রহ্ম যন্ত্র

কিনে আনলাম আমার ছোটবেলার শব্দ ব্রহ্ম যন্ত্র l শব্দই ব্রহ্ম l আর ব্রহ্ম সদা আনন্দময়, তাকে এই চর্মচক্ষু দিয়ে দেখা যায় না, অনুভব করতে হয় l ছোটো থেকেই শুনতাম এসব কথা বড়দের মুখে l মাথায় কিছুই ঢুকতো না যদিও l কিন্তু এই রেডিও নামক বস্তটি আমাকে প্রথম এসব কথার সত্যতা যেন প্ৰমাণ করিয়েছিল l কেননা এই অদ্ভুত যন্ত্রটা থেকেই বেড়িয়ে আসতো নানান মধুর শব্দ, যা শুনে আমার শিশু মন আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে যেতো l কিন্তু কিছুতেই ধরতে পারতাম না এই যন্ত্রটির ভিতরে বসে কারা এমন করে কথা বলছে, গান গাইছে, শব্দ করছে ! যখন আশপাশে বড়রা থাকতো না, তখন এই…
Read More
মে দিবস

মে দিবস

১৮৮৬ সালের ১লা মে প্রায় যে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ জড়ো হয়েছিল আমেরিকার শিকাগো শহরের হেগ মার্কেটে আট ঘন্টার কাজের দাবিতে তাদের কপালে জুটেছিল বুলেট। পুঁজিবাদী শক্তি তাদের সর্বশক্তি দিয়েও সেদিন দাবিয়ে রাখতে পারেনি শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। ১৮৮৯ সালের ১৪ই জুলাই ফ্রান্সে বাস্তিল পতনের শতবার্ষিকী অধিবেশনে প্রস্তাব গৃহীত হয় ১৮৯০ সালের ১লা মে থেকে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী দিবস হিসেবে পালিত হবে।  বছরে এই দিনটি শ্রমজীবী মানুষের জন্য সারা পৃথিবীতে শ্রমিক দিবস পালিত হলেও পৃথিবীজুড়ে পুঁজিবাদের রমরমার আবহে শ্রমজীবী মানুষের সামগ্রিক অবস্থা মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়। এখন অধিকাংশ ব্যক্তি মালিকানাধীন সংস্থা গুলোতে আট ঘন্টা কাজের অধিকারকে ক্রমশ প্রহসনে পরিণত করা হচ্ছে।…
Read More
বাংলা ভাষা চর্চায় ইংরেজির ব্যবহার

বাংলা ভাষা চর্চায় ইংরেজির ব্যবহার

বাংলা ভাষার লেখালেখি চর্চায় বাংলা হরফে ইংরেজি শব্দের বহুল ব্যবহার মনকে নাড়া দেয়। আপাতভাবে বিষয়টি হয়তো গুরুতর নয়, কিন্তু বাংলা লেখায় ইংরেজি শব্দের ওপর এই নির্ভরশীলতা কি বাংলা ভাষার স্বনির্ভরতার পরিপন্থী নয়? উদ্বেগটা এখানেই। বাংলা গল্পকারদের গল্প লিখতে গিয়ে গল্পের প্রয়োজনে অনেক সময় চরিত্রের মুখনিঃসৃত সংলাপ ব্যবহার করতে হয়। আমরা যারা বাংলা ভাষায় কথা বলি, মুখনিঃসৃত বাংলা বাক্যে খুব দরকারে বহুল ব্যবহৃত সহজবোধ্য ইংরেজি শব্দ জায়গামতো বসিয়ে দিই। কথ্য বাংলা ভাষায় এমন টুকরো টুকরো ইংরেজি শব্দের ব্যবহার হয়তো অতটা উদ্বেগজনক নয়, যতটা উদ্বেগজনক লিখিত বাংলা ভাষায় ইংরেজি শব্দের ব্যবহার। ঠিক সেই কারণেই বাংলা গল্পকার যখন চরিত্রের মুখনিঃসৃত সংলাপে বাংলা হরফে…
Read More
চা শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি যেন অধরা মায়াহরিণ

চা শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি যেন অধরা মায়াহরিণ

২০১৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি শেষবারের মতো চা শ্রমিকদের জন্য স্বাক্ষরিত হয়েছিল মজুরি চুক্তি (যা বলবৎ হয়েছিল এপ্রিল ২০১৪ থেকে)। গঠিত হয়েছিল চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের জন্য অ্যাডভাইজরি কমিটি। সেই কমিটির ওপর দায়িত্ব বর্তেছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব' ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করতে। তারপর এত বছর কেটে গেলেও কেউ কথা রাখেনি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব' কথাটি শুনে আশায় বুক বেঁধেছিলেন উত্তরবঙ্গের ২৮৩টি চা বাগানের প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ শ্রমিক কর্মচারী। কিন্তু মায়াহরিণ আজও অধরা। আইন অদ্যাবধি চালু তো হয়ইনি, বরং তিন বছর অন্তর মজুরি চুক্তিও বন্ধ হয়ে আছে। মাঝে রাজ্য সরকারের মধ্যস্থতায় 'নাকের বদলে নরুন'-এর মতো বারকয়েক অন্তর্বর্তীকালীন মজুরি বৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু এই…
Read More
বর্ণমালার ঘ্রাণ

বর্ণমালার ঘ্রাণ

সকাল এগারোটা। শেয়ালকাটা পাবলিক লাইব্রেরির দরজায় জং-ধরা ধুমসো প্রাগৈতিহাসিক তালাটা এখনও গভীর ঘুমে কেতরে পড়ে আছে। যদিও এই ছবিটা এখন সকালে সূর্য ওঠা আর সন্ধেয় অস্ত যাওয়ার মতই স্বাভাবিক। কেউ ফিরেও তাকায় না এসব ছিঁচকে অসংগতির দিকে। মানুষজন এখন ভীষণ ব্যস্ত ও নৈর্ব্যক্তিক। শেয়ালকাটায় যে একদা লাইব্রেরি বলে ছোট্ট একটি ঘর ছিল যেখানে রোজ মানুষজন আসতেন বই পড়তে, বাড়িতে বই নিয়ে যেতেন, সারাদিন খোলা থাকত ঘরের দরজাটা, আশপাশের চা-বাগানের পিওন কিংবা ডাকওয়ালারা বাবুদের বইয়ের লিস্ট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন, গ্রন্থাগারিক সেসব সামলাতে হিমসিম খেতেন, এসব জীবিত পূর্বজদের জানা থাকলেও নব্য মানুষজন এসব কিছুই জানেন না। লাইব্রেরির বাইরের চাতালটায় 'হ্রস্ব-উ'-এর মতো উটকো…
Read More
মহাবীর মহারথী মহান  দাতা কর্ণ

মহাবীর মহারথী মহান  দাতা কর্ণ

মহাভারতে অন্যতম আকর্ষণীয় ও বর্ণময় চরিত্র হইলেন মহাবীর কর্ণ । পান্ডু পত্নী কুন্তী কুমারী থাকা কালীন কর্ণ জন্মগ্রহণ করেন । কুমারী কুন্তী দৈব প্রদত্ত একটি মন্ত্র প্রাপ্ত হন । সেই মন্ত্রের দ্বারা উনি বহু দেবতাকে আহ্বান করিতে পারিবেন । কুমারী কুন্তী ওই মন্ত্রের শক্তি পরীক্ষা করিবার উদ্দেশ্যে একদিন নির্জনে নদী তীরে সূর্যদেবকে আহ্বান করিলেন । সূর্যদেব সেই আমন্ত্রণে কুমারী কুন্তীর কর্নে প্রবেশ করিলেন  ও কুন্তী গর্ভবতী হইলেন । তৎপরে কবচ কুণ্ডলসহ একটি সুদর্শন পুত্র ভূমিষ্ট  হইল । কর্ণ হইতে ভূমিষ্ট হইবার হেতু তার নাম হয় কর্ণ । কুন্তীর পুত্র হইবার কারণে কর্ণের আর এক নাম কৌন্তেয় ।  কুমারী থাকা কালীন…
Read More
জল সংরক্ষণ নিয়ে কিছু কথা

জল সংরক্ষণ নিয়ে কিছু কথা

‘’সুজলাং সুফলাং মলয়জ শীতলাং শস্যশ্যামলাং মাতরম্৷৷’’ কবির মতো আমরা সবাই এই ধরাভূমিকে চিরসবুজ, সুফলা, কলরবে মুখরিত দেখতে চাই। কিন্তু তার যৌবনতাকে বজায় রাখার সুগঠিত প্রচেষ্টা করি না। ভগবানের অপরূপ উপহার ‘জল’। জলই জীবন। জল ছাড়া পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ কোনভাবেই সম্ভবপর নয়। পৃথিবীর আদিম প্রাণ জলেই সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীর সব জীব জলের উপর নির্ভরশীল। এ পৃথিবীতে তিনভাগ জল, একভাগ স্থল। পাঁচ, পাঁচটি মহাসাগর, বেশ কয়েকটি সাগর-উপসাগর, অগণিত নদ-নদী, খাল-বিলের বিপুল জলরাশিভান্ডার থাকা সত্বেও, উন্নত-উন্নয়নশীল দেশগুলিতে কৃষিকাজ ও পানীয়-জলের সমস্যা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে, ধীরে-ধীরে তা ক্রমশ ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে। আফ্রিকা, এশিয়ার মতো লাতিন আমেরিকার দেশগুলিও এর কবলে পড়ে এখন হাঁসফাঁস করছে।…
Read More
মোনালিসা ও কিছু অজানা তথ্য

মোনালিসা ও কিছু অজানা তথ্য

বিখ্যাত চিত্রকর লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি ১৫০৩ থেকে ১৫০৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে এই রহস্যময় চিত্রটি আঁকেন। প্রায় চারবছর লেগেছিল তাঁর এই ছবিটি আঁকতে। ‘মোনালিসা’ ছবিটির মূল্য নির্ধারণ করা হয় প্রায় ৮৩০ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু, মোনালিসার এই চিত্রটি এতো ব্যয়বহুল হওয়ার নেপথ্যে কারণ কী? এই রহস্যের সমাধান করা কিন্তু আজ পর্যন্ত সম্ভব হয়ে ওঠেনি।অনেকের মতেই তার আঁকা বিখ্যাত এই চিত্র “মোনালিসা” ছিল ফ্লোরেন্সের তৎকালীন একজন সিল্ক ব্যবসায়ীর স্ত্রী লিসা গেরারদিনের পোর্ট্রেট। আবার অনেকেই মনে করেন লিওনার্দো তাঁর কল্পনা থেকেই এই ছবিটি এঁকেছিলেন। পূর্ণভাবে রহস্যে ঘেরা এই মোনালিসার চিত্রটি। ছবিটি বিভিন্ন দিক থেকে দেখলে বিভিন্ন রকম মনে হয়।দূর থেকে চিত্রটি দেখলে মনে হয়…
Read More
এই নিরালায়      

এই নিরালায়      

"আজ জ্যোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে…" অতীন্দ্রিয় এক সুখ অথবা নির্ভুল বেদনার পূর্ণ বিষভান্ড মানুষের মনের ক্ষেত্রভূমিতে জেগে ওঠে প্রতিদিনের সংসারে l মনের স্তরে স্তরে মেঘের চাদর ছিঁড়ে জ্যোৎস্না জেগে ওঠে অবলীলায় lদুর্বল মানুষের চেতনার কানায় কানায় মস্ত বড় মহান ভুল ঠিক তখনই হয় l যেহেতু সেই অপূর্ব আলোয় মায়াবীমনে সত্যের বোধ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, ঠিক তখন সকলেই ছোটে পূর্ণ উদ্যমে সেই মায়াবী জ্যোৎস্নারাতের বনে l সে এক অলীক বন, মিথ্যের অপূর্ব রূপময় অযোগ্য এক মায়ার ছায়া ফেলে ঘিরে ধরে দুর্বল মনকে l সেই জ্যোৎস্নাবনেই লুকিয়ে থাকে মৃত্যুর ব্যথা, জীবনের অনাদর, প্রাচুর্যশূন্য আত্মার কান্না l কেবলই নির্বুদ্ধিতায় ভোগের উপচার সংগ্রহ করে…
Read More
পেরেম পত্তর

পেরেম পত্তর

সে তখন একটা বয়েস ছিল।তখন সবারই একটা পেরেম -পেরেম ভাব আসে মনে।দুনিয়াটাকে বেশ রঙীন মনে হয়।আমারও মনে হচ্ছে।ইস্কুলের বান্ধবীরা লুকিয়ে খাতার ভেতর পেরেম পত্তর চালাচালি করছে।সাইকেলে চড়ে রোমিওরা ছুটির সময় গেটের বাইরে লাইন দিচ্ছে।কৃষ্ণচূড়া গাছ থেকে লাল ফুলে- ফুলে রাস্তাটা ঢাকা।রোমিওরা কেমন পেরেমপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকায় আর জুলিয়েটরা তাদের হাত ধরে ঐ কৃষ্ণচূড়া ফুলে ছাওয়া পথ মাড়িয়ে বিকেলের ছায়া-ছায়া রোদে হাসতে হাসতে অনেক দূরে মিলিয়ে যায়। "কোথায় যাচ্ছিস রে?" প্রশ্ন করলেই গম্ভীর উত্তর মিলতো কোচিং এ পড়া আছে।কোন সেই অমরাবতী?সেখানে কি এমন অমৃতময় পড়া হয় যে এমন করে চখাচখির মতো হাঁটতে হয়?খুব রাগ হতো মাঝে- মাঝে।আমাদের নাকি বনেদী বাড়ী!এসব বাড়ীর ছেলেমেয়েরা…
Read More