ব্যর্থতার অভ্যাস

ব্যর্থতার অভ্যাস

আধার যত গভীর হয়ে আসে, মস্তিষ্কেহিজিবিজি কাটে সময়ের ভর্ৎসনাপাংশু মুখে কেপে কেপে ওঠেঅসুখ বুকের গোঙানি। রাতের তারাদের উজ্জ্বল হাসিকেকালো মেঘের বিষাক্ত হুমকি মুচড়ে ধরে।ছটফট করেও পথ খুঁজে পায় নাশীতল বৃষ্টির মোক্ষ দ্বার । বারবার লড়াই বাধে জটিল পরিস্থিতির সূচালো মানসিকতা ও স্ব অস্তিত্ব রক্ষার, অথচ, জয়ী হয় রোজকার আত্মহনন। আর, শুষ্ক চোখ থেকে উদ্বাস্তুর মতো উবে যায়চিরকালের স্বপ্নের চাবিকাঠি।
Read More
দৃশ্য

দৃশ্য

যাকে একমুহুর্ত দেখলেমনটা খুশিতে অনর্গল হয়ে যায়,সে আমার হোক বা অন্য কারোরতাতে কি আসে যায়? যার প্রতিটা নিঃশ্বাসের আওয়াজতীরের ফলার মতো বুকে বেঁধে যায়,সে কাছে থাকুক বা দূরেতাতে কি আসে যায়? যাকে স্পর্শ ছাড়াই অনুভব করা যায়,যার প্রতিটা পদক্ষেপ আমাতেই অন্ত হয়,সে কাছে থাকুক বা দূরেতাতে কি আসে যায় ? যার আশাটা ছিল আচমকাই,না হয় চলে যাওয়াটাও হবে আক্ষেপের,তাই সে মনে রাখুক বা ভুলে যাক,তাতেই বা কি আসে যায়? ...................নিরূপমা
Read More
শেষ দেখা

শেষ দেখা

আমার বিদেহী আত্মায় শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তুমি হাতে রজনীগন্ধার স্টিক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছো আমার মৃতদেহের পাশে।তোমার চোখের কোণে চিক চিক করে উঠছে জল,ঠোঁট কেঁপে উঠছে ঘন ঘন।কিছু কি বাকি থেকে গেছে এখনো? আমিতো গোটা বিশ্ব চাইনি তোমার কাছে,শুধু তোমার অন্ধকারটুকু…তুমি তবু ফিরিয়েই দিলে। দেখো আজ কেমন আলো মেখে শুয়ে আছি,কাছে এসো,নিংড়ে নাওএযাবৎ যত আলো জমা করেছি,শেষদেখা হলে সবই তোমায় দিয়ে যাবো বলে। ....................পারমিতা দে(দাস)
Read More
হানিফ মাঝি ও বর্ষা

হানিফ মাঝি ও বর্ষা

প্রহর প্রহর ঝমর ঝমাৎঈশান কালো মেঘ।এমন সময় কলম ধরেইকবির আসে বেগ।আকাশ পানে হানিফ চাচাকরুণ চোখে চায়।মুষল ধারায় কেমন করেনৌকোখানা বায়!?কপাল জুড়ে ভাঁজের রেখাবিন্দু বিন্দু ঘাম -----বানের জলে ভেসেই চলেগাঁয়ের পরে গ্রাম।বুকের শিরা ফুলিয়ে হানিফহ্যাঁচকা মারে টান -----একটা শুধু টিনের চালাতাও বুঝি নেয় বান!!কবির কলম লিখেই চলেইলিশ মাছের ঘ্রাণ।ভাতের সুবাস পায় না হানিফক্যামনে বাঁচে প্রাণ!?
Read More
মূক

মূক

শত তল্লাশ শেষে নিজেকে আবিষ্কার করেছিএক অন্ধকার ঘেরা চাপা গলিতেবারবার পা টেনে রয়েছে বিষাক্ত কর্দমাক্ত পথ। দুচোখের পাতায় অনায়াসে ঝড়ে পড়াস্রোত যেন, কিছু বলতে চেয়েছিলঅথচ, আজও স্তব্ধ। কেবল ভেসে আসে দহন আর্তনাদযার কালো ধোঁয়ায় ঝাপসা চারিদিক ,বোধহয় বুকের ভেতর থেকেজ্বলে উঠছে সেই অবদমিত চিৎকারজটিল সম্পর্ক ঘেরা বেড়াজালেধর্ষিত মনটার।
Read More
অন্তত নিজের কাছে

অন্তত নিজের কাছে

পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিআসলে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়ার চেষ্টা করছি,অথচ আমার এখন স্বেচ্ছা নির্বাসনে যাবার কথা।এ সময় অন্তত নিজের কাছে কিছু সত্য বলা প্রয়োজন -ভালবাসা আজকাল ধারণায় বাঁচেযেহেতু আমরা পরস্পরের থেকে ক্রমাগত দূরে সরে যাই।এই জন্ম, এই অতীতচারিতা - হয়তো বিস্মৃতি চেয়েছিলাম,আয়নার সামনে স্থির হয়ে দাঁড়ালে স্পষ্ট দেখতে পাইবুকের মধ্যে বইছে একটা নদীতীব্র জলস্রোতে ভেসে যাচ্ছে যাপিত জীবন। ………রঞ্জন চক্রবর্ত্তী
Read More
ধূসর বন্দী

ধূসর বন্দী

আমি কিন্তু ঠিক, মুক্ত হতে চা‌ইনি!শেকলে বদ্ধ হতেও, আমি যে পারিনি;আমি শুধু পাহাড়কে, বড্ড ভালোবাসি!ধূসর পাহাড়ে বন্দী ভীষণ,ওই স্নিগ্ধতার রাশি।কিন্তু সে স্নিগ্ধতা,আমায় করছে যে বড্ড বঞ্চিত!পাহাড়ি ধূসরতা আমাতেই,বেশ আছে সঞ্চিত।ধূসর শেকলের ধাঁধায়,নিজেই তো বন্দী আমি !ধূসর ধাঁধায়-ধূসর শেকলের,সে কি ভীষণরকম হামি!এমন বাঁধন,চাইনি যে আমি এই ধূসরতার মোড়কেহাঁটতে চেয়েছি একটু শুধু,সেই স্নিগ্ধ পাহাড়ি সড়কে।তবে স্নিগ্ধতা ব্যস্ত ভীষণ,আমায় মুক্তি দিতে…আমি যে ইতি,ওর সূচীপত্রের ঠিক প্রথম পাতাতে।আমার সূচনাতেই,সমাপ্ত সেই স্নিগ্ধ পাহাড়ি রেখা!আমার সূচীপত্রের প্রতিটি অধ্যায়,শুধু যে ধূসর কলমে লেখা।। ........... দেবাঙ্গনা ঘোষ
Read More
যাত্রীপ্রতীক্ষালয়

যাত্রীপ্রতীক্ষালয়

জরুরি অবতরণের জন্য আপনি দায়ী ননএই অপ্রত্যাশিত অন্ধকারলালশালুর নিচে যজ্ঞের বালিএসবের উপর শীতলতম দুধ, দই ও জলের মিশ্রণযে সামান্য আর্তশব্দ ভেসে আসে, এটাই সত্যপ্রিজমের ভেতর আলো ভেঙে যায়আলোর জাদুস্পর্শে আমাদের চোখদেখা ও না-দেখার মাঝেই সমস্ত যাত্রীপ্রতীক্ষালয় ............ নীলাদ্রি দেব
Read More
মিছিলের তরুণীকে

মিছিলের তরুণীকে

এমন করে মিছিলে যাও তুমি, রাস্তা হেটে চলে তোমার পায়ে লেগে, এই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর অসুখ হলো তুমি এবং তোমার আদর্শ, তোমার যাওয়ার আগে কালবৈশাখী বিকেল বেলায় শেষ করে দেব। পাহাড় নদী এক হবে তোমার দিন শেষে বিদ্রোহী কবি পুরস্কৃত হবে সুদর্শন চক্রে অথচ তুমি কিছুই জানবেনা, পৃথিবীর আর তোমার মধ্যে শুধু--- আয়তনের পার্থক্য।                             ..........বুদ্ধপ্রিয়
Read More
নাগরের জলে

নাগরের জলে

নাগরের টলটলে জলেভেসে যায় স্বপ্নীল মেঘেরাভেসে যায় পুরাতন ইতিহাস কথাআদিগন্ত খোলামেলা বাতাসের প্রেমালাপমনু মাঝির ভাটিয়ালির সুরের মূর্ছনায়ঢেউ ওঠে নদীর তরঙ্গায়িত বুকেমানুষের দুঃখ-সুখের জীবনগাথা বুকে নিয়েনাগর বয়ে চলেছে আপন খেয়ালে দিনের পর দিনমাসের পর মাস,বছরের পর বছরবিরতিহীন সেই চলায়ক্রমশ মিশে যেতে থাকি আমিমিশে যেতে থাকে আমার যাবতীয় নাগর জানে মনের সব গোপন কথাফেলে আসা শৈশব স্মৃতি,লুকোনো আবেগের ঢেউ,দুঃখ সুখের আলাপন,সময়ের অভিঘাত সবনাগর চেনে সব গোপন ব্যথাদেরসে ছুঁয়ে দিলেই মন শীতল হয়ে যায়তাঁর কোনো চাওয়া নেই,অভিমান নেই,ক্লান্তি নেইনিরুদ্বেগ সে চলায় আমার মনের দুকূল ছাপিয়ে সে বয়ে যায়ভালবাসার পরশ বুলিয়ে সে বয়ে যায়আর নাগরের স্নিগ্ধ জলে মন ডুবিয়েসারা বিকেল একা পাড়ে বসে আমিগেয়ে…
Read More
আলো ছুঁয়ে দেখি

আলো ছুঁয়ে দেখি

জোনাকি দেখিনি…আলোর অভাব বোধও ছিলনা কোনো মাতৃপুরুষ ছিল পাশে, অন্ধকারে একটা জোনাকিজানালার পাশে উড়ে এলে আমি ভেজা চোখেআলো ছুঁয়ে দেখি… ..................মৃন্ময় মাজী
Read More
নিধুবাবুর টপ্পা

নিধুবাবুর টপ্পা

মেঘের বিস্তার জানি।হাওয়া এসে উড়িয়ে নিয়ে যায়ইশারা।পুতুলের দোকানে দেখি রোদচশমাতর্জনীতে কপালের ঘামতান্ত্রিকের দিব্যি দিয়ে বলছিনিধুবাবুর টপ্পা ভালো লাগেআমার। .................সুবীর সরকার
Read More
উপসংহার

উপসংহার

কোনো কোনো উপন্যাস শেষ হলে মন খারাপ হয়ে যায়। আমরা যা চাই, শেষে তা পাই না বলেই এই মনকেমন। কোনো একটা চরিত্রের উপর একটা বিশেষ ভালো লাগা জন্মায়। মনে হয় সে যেন আমি নিজেই। তার কষ্টগুলোও আমার, সুখগুলোও। মনে মনে চাই শেষ পর্যন্ত যেন লেখক তাকে জিতিয়ে দেন। লেখক এখানে ভগবান। চাইলেই লেখক তাকে আর আমাকে জিতিয়ে দিতে পারেন। ভগবানের কাছেও চাই, ঠাকুর আমাকে জিতিয়ে দিও। ভেতর থেকে শূন্য হয় তারাই, যারা বাইরে থেকে নিজেদের একটা গন্ডী কেটে নেয়। সমান ভাবে চলতে থাকলে পথ ফুরোয় না। চোখের সামনে নিজেকে ফুরিয়ে যেতে দেখে সাবধান হই। কষ্টে আঁচড় লাগে শরীরে। উপন্যাসটা শেষ…
Read More
দূর থেকে লেখা

দূর থেকে লেখা

দুটো তিল ও একটি টিপ কালো নিয়ে এমন সজীব সহাবস্থান তোমার সহিত বাক্যালাপ বিনিময় হয়নিযেটুকু সেও কেবল প্রিয় ধোঁয়া বিষয়ক অথচ কত সহজতোমায় লেখানিয়ে লেখা বাস্তবিক কবিত্ব একটি অভিশাপঅথবা খুব সহজ চালাকি একদিন বলে দেব এই লেখা তোমায় দেখেতুমি লজ্জা পাবে সামান্য বাকিটা আমার লজ্জিত হওয়ার অধ্যায় সৃষ্টি কত সহজে অস্বীকার করেপিতামাতার স্মৃতি ।। ......................সন্দীপন দত্ত
Read More