ফের বিপর্যয়ের আতঙ্ক: বাংলায় ফিরে আসছে ভয়ানক ঘূর্ণিঝড়

বাংলা সবে আমপানের ক্ষয়ক্ষতির থেকে সেরে উঠেছে, স্মৃতি এখনও স্থায়ী। এর মধ্যেই ধেয়ে আসছে এক নতুন বিপর্যয়, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। সেই সঙ্গে দিঘার উপকূলে বিপর্যয়ের আতঙ্কও।

গত ২০ মে, আচমকাই বৃষ্টি শুরু হয় ফলে সমুদ্র ভয়ানক চেহারা ধারণ করেছিল। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উপকূলের বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছিলেন ফ্লাড সেন্টারে। আমফানের ক্ষয়ক্ষতি থেকে সবেই সেরে উঠেছিল সকলে। কিন্তু সেদিনের ভয়াবহ দৃশ্য ফিরিয়ে আনলো নতুন বিপর্যয়।প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়ে উপকূল বাসিন্দারা অভ্যস্ত। এবারে আবার নতুন করে আসছে এক ভয়ানক ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মৎস্যজীবীরা আমপানের সময় আইসিডিএস কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিল। প্রবল ঝড়ে ঘর জমি জলে প্রায় ডুবে গেছিল।ঝড়বৃষ্টির সময় সারা রাত জলে ভাসে এই জায়গাগুলি। যেখানে যাঁরা আশ্রয় নেন তাঁদের দুরবস্থায় পড়তে হয়। করোনার মধ্যে বহু মানুষকে গাদাগাদি করে এক জায়গায় রাখা হয়।

আমপানের কথা মাথায় রেখেই রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলছেন, ‘‘আগের অভিজ্ঞতার পর আমাদের প্রধান লক্ষ্য প্রাণহানি ঠেকানো। এ বার প্রতিটি গ্রামে কমিটি গড়ে দেওয়া হচ্ছে। শুকনো খাবারের বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে। ঝড় হলে জনজীবন দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা টিম তৈরি থাকছে। বিদ্যুৎ এবং জল সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। গাছ ভেঙে পড়লে সেগুলো কেটে সরিয়ে দেওয়াও লক্ষ্য। বিপর্যয় ঠেকাতে প্রশাসন তৈরি রয়েছে।”