ঋতু পরিবর্তনের সময়ে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে, তাই এটি শক্তিশালী করার জন্য প্রাকৃতিক উপায় গ্রহণ করা উচিত। ম্যাক্স হেলথকেয়ার নিউ দিল্লির রিজিওনাল হেড – ডায়েটেটিক্স রিতিকা সামাদ্দার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে সুপারিশ করেছেন। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবারগুলির মধ্যে একটি সুপারফুড হলো ক্যালিফোর্নিয়া আমন্ডস, যা ১৫টি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। তাঁর মতে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ক্যালিফোর্নিয়া আমন্ডস অন্তর্ভুক্ত করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলা যায় এবং সুস্থ থাকা সম্ভব হতে পারে।
প্রোটিন, ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর চর্বিতে (healthy fats) ক্যালিফোর্নিয়া আমন্ডস সমৃদ্ধ, যা সুষম খাদ্য হিসেবে চমৎকার। ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ (FSSAI) আমন্ডকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ’-এর (ICMR) সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ডায়েটারি গাইডলাইনস’-এও আমন্ডকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে প্রতিদিনের স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবে।
আমন্ডস খাওয়ার উপকারিতা এরকম – (ক) ভিটামিন ই: আমন্ডস ভিটামিন ই-তে সমৃদ্ধ, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সমর্থন করে। (খ) কপার (তামা): আমন্ডস তামার একটি ভাল উৎস, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। (গ) জিংক: আমন্ডস জিংকের একটি ভাল উৎস, যা ‘ইনেট ইমিউন সেল’গুলির বিকাশে সহায়তা করে। (ঘ) আয়রন: আমন্ডস আয়রনের একটি ভালো উৎস, যা রোগ প্রতিরোধক সেলগুলির বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন আমন্ডস খাওয়ার সহজ উপায় হল – (ক) সকালবেলা: সকালের খাবার হিসেবে আমন্ডস খাওয়া যেতে পারে। (খ) ওয়ার্কআউটের পর স্ন্যাক হিসেবে: আমন্ডস প্রাকৃতিক প্রোটিনের উপযুক্ত উৎস। (গ) ভোজের বিরতিকালে: আমন্ডস ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। (ঘ) রন্ধনশিল্পে: সালাদ, কারি, ডেজার্ট বা স্মুথিতে আমন্ডস ব্যবহার করা যায়।