তবে কি এবার দখল হতে পারে পাকিস্তান?

সারা দেশের সব চেয়ে আতংকিত খবর এখন আফগানিস্তানের তালিবান দখল। আতঙ্কের প্রহর গুনছে আফগানবাসী। এই পরিস্থিতিতে এখন প্রশ্ন উঠেছে কাবুল দখলের পর কি এবার পাকিস্তানে নজর তালিবানের? এবার কি তাহলে অশান্তির আঁচ পড়তে চলেছে পাকিস্তানে? সম্প্রতি পাক-আফগান সীমান্ত অঞ্চলে তালিবানের সঙ্গে পাক সেনার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে এক পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষে নিহত হয়েছে এক জঙ্গিও। ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণও ঘটিয়েছে তালিবানদের ওই গোষ্ঠীটি। যদিও, এখনও তালিবানের সঙ্গে ইমরান সরকারের সুসম্পর্ক বজায় আছে। গত রবিবার তালিবান বাহিনী কাবুল দখলের পরেই তাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আফগানিস্তানের পরবর্তী তালিবান সরকারে পাক সেনার মদতে পুষ্ট তালিবান নেতা সিরাজ্জুদ্দিন হক্কানি গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন বলেও ইঙ্গিত মিলেছে। খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে প্রভাব রয়েছে হক্কানি নেটওয়ার্কের।

এরই মধ্যে বুধবার আফগানিস্তানের জেলে বন্দি টিটিপি-র নেতা মৌলানা ফকির মহম্মদকে মুক্তি দিয়েছে তালিবান। যা খানিকটা হলেও চিন্তায় রাখছে ইসলামাবাদকে। মৌলানা ফকির মহম্মদ যদি নতুন করে ওয়াজিরিস্তানে টিটিপির নেটওয়ার্ক তৈরির কাজ শুরু করে, সেটা বেশ চাপের হবে ইমরান খানের জন্য। আফগানিস্তানে তালিবানের ক্ষমতা দখল পাকিস্তানে তালিবানিদের এই গোষ্ঠীটিকে নতুন করে উৎসাহিত করছে।তালিবানের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ বলছে, দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের টিটিপি এবং সোয়াট উপত্যকায় সক্রিয় ‘তেহরিক-ই নিফাজ-ই শরিয়তি মহম্মদি’ (টিএনএসএম) গোষ্ঠীর সঙ্গে হক্কানিদের পুরনো শত্রুতা রয়েছে।