তবে কি দ্বিতীয় বৈঠকে মিটতে চলেছে গালওয়ান সংঘর্ষের তিক্ততা

লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে গালওয়ান সংঘর্ষের পর কেটে গিয়েছে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে। কিছুতেই কমছে না দুই দেশের মধ্যের তিক্ততা। বেশ কয়েকবার বৈঠক হওয়া সত্ত্বেও মিলছে না কোনো সুরাহা। সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমিত হলেও সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়নি এখনও। এহেন পরিস্থিতিতে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তাজিকিস্তানে ‘সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশন’-এর সদস্য দেশগুলির বৈঠকের ফাঁকে চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন জয়শংকর। দুই দুঁদে কুটনীতিবিদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু যে লাদাখ, তা একপ্রকার স্পষ্ট। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে মস্কোয় বৈঠক করেছিলেন তাঁরা। তাদের কূটনৈতিক বৈঠকে মিলেছিল কিছুটা সমাধান। তাঁদের দুজনের বৈঠকের পরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রন রেখার কাছে বেশ কিছু এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছিল।

উল্লেখ্য, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ও বিতর্কিত এলাকাগুলি থেকে সেনা সরাতে এর আগে কমান্ডার স্তরের বেশ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে দুই ফৌজের মধ্যে। গত বছর লাদাখে লালফৌজের অতর্কিতে হামলার পর থেকেই ওই সব অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ানো হয়েছে সতর্কতা। কেবল স্থলপথেই নয় আকাপথেও রয়েছে কড়া নজরদারি। রাফালে, মিগ-২৯ ও সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান নিয়মিত উত্তরাঞ্চলের ওই এলাকার সীমানায় আকাশপথে টহল দিচ্ছে। সবদিক থেকেই লালফৌজের পরবর্তী যে কোনও রকমের হামলার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা।