সদ্যই নিজ পদে ইস্তফা দিয়েছেন বরিস জনসন। চলছে নির্বাচন, নতুন প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছে যুক্তরাজ্যে। যুক্তরাজ্যের প্রথম ভারতীয় বংশভূত প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে আরও একধাপ এগোলেন ভারতের জামাই ঋষি সুনক। ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগের পর থেকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঋষির নামই বারবার সামনে এসেছে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ব্রিটেনের আগামী প্রধানমন্ত্রী পদ ঋষির দখলে আসা এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। জানা যাচ্ছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড়ে আরও একধাপ এগিয়েছেন ভারতীয় বংশভূত এই রাজনীতিবিদ। তৃতীয় ধাপে রেকর্ড ভোট দখলের পর চতুর্থ দফার ভোটেও রেকর্ড গড়েছেন ঋষি।
রিপোর্ট অনুযায়ী বরিসের মন্ত্রিসভার প্রাক্তন চ্যান্সেলর ঋষির ঝুলিতে চতুর্থ দফায় এসেছে কমপক্ষে ১১৮টি ভোট। এর সঙ্গে জানা যাচ্ছে এদিনের এই ভোট প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছেন ব্রিটেনের বিদ্রোহী সংসদ কেমি বাডেনোচ।
বলে রাখা ভালো, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসতে গেলে যেকোনো প্রার্থীকে কমপক্ষে দলের ১২০ জন সদস্যের সমর্থনের প্রয়োজন। অর্থাৎ পার্লামেন্টে কনজারভেটিভ পার্টির যতজন সংসদ রয়েছেন তাদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশে সমর্থন লাগবে সেই প্রার্থীর। অর্থাৎ হিসাব অনুযায়ী কাঙ্খিত ভোটের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন ঋষি।
চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তিনি পেয়েছেন ১১৮ জন সদস্যের সমর্থন। এর আগে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণে তিনি পেয়েছিলেন ১১৫ জনের সমর্থন। ট্রেন্ড যেদিকে এগোচ্ছে তাতে মনে করা হচ্ছে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঋষি তার লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হবেন। কারণ প্রত্যেক দফাতেই ঋষির প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা একটু একটু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর সঙ্গেই জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে ঋষির সামনে আর মাত্র দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী। তারা হলেন ব্রিটেনের প্রাক্তন বাণিজ্যমন্ত্রী পেনী মরডুউযান্ট এবং প্রাক্তন বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস। যদিও তাদের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ঋষির থেকে অনেকটাই কম। সোমবারের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় পেনি পেয়েছিলেন ৯২ টি ভোট, অন্যদিকে ট্রাসের দখলে ছিল ৮৬টি ভোট।
তবে ভোটের সংখ্যা কম হলেও এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীই যথেষ্ট ক্ষমতা সম্পন্ন। অন্যদিকে তারা আবার বরিসের একেবারে ঘরের লোক। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঋষিকে দেখতে একেবারেই রাজি নন বরিস। কারণ, বরিসের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে ঋষিই প্রথম তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল এবং পরে সেই বিদ্রোহের আগুন জ্বালামুখীর রূপ নেওয়ায় শেষমেষ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন বরিস।
আর তাই ঋষির পথ আটকাতে সমস্ত রকম চেষ্টা করবেন তিনি, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। তবে এক্ষেত্রে শেষ হাসি কে হাসবেন তা জানা যাবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর। কারণ আরো কয়েক দফা ভোটের পর ওই দিনই চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।