এখনো পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে দল বদলের খেলা। বারংবার প্রশ্ন উঠছে তার অবস্থান নিয়ে। খাতায় কলমে তিনি বিজেপি নেতা হলেও বারংবার তাকে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের শাসক দলের সাথে যোগাযোগ রাখতে। ভোটের মুখে দলবদল করে চমক দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন মিটতেই ফের একবার পুরনো দলের প্রতি নরম সুর শোনা গিয়েছিল প্রাক্তন বনমন্ত্রীর গলায়। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজীবের বৈঠক ঘিরে সেই জল্পনাই মাথাচাড়া দিল। এদিন ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দফতরে যান বিজেপি নেতা। প্রায় ৩০ মিনিট তৃণমূল সাংসদের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে বৈঠক করেন তাঁরা। এতেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা আরও জোরাল হয়েছে। তবে কি ঘরওয়াপসির মরসুমে এবার নতুন নাম রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়?
এই সাক্ষাৎ নিয়ে কিছুই খোলসা করতে চাননি তৃণমূলের রাজ্যে সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “রাজীবের সঙ্গে দলের শীর্ষ কোনও নেতার বৈঠক হয়েছে কিনা জানি না। তবে, উনি বিজেপির নীতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলেন বলেই জেনেছিলাম। এর থেকে বেশি কিছু বলার এক্তিয়ার আমার নেই।”
চাটার্ড উড়ানে ধরে দিল্লিতে গিয়ে অমিত শেহর উপস্থিতিতে যোগ দেন পদ্ম শিবিরে। এরপর প্রচারে রতৃণমূলের বিরুদ্ধে রনংদেহী মেজাজে দেখা গিয়েছে তাঁকে। নিশানা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেককে। যদিও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ভোটে পরাজিত হন। রাজনৈতিক শিবির বদলের পর একুশের ভোটে হারের ধাক্কা সামলাতে খানিক সময় লেগেছিল। এরপরই ভিন্ন সুরে বাজতে শুরু করেন দলবদলু এই নেতা। কখনও দলের বিরুদ্ধে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে ‘বেসুরো’ ফেসবুক পোস্ট, কখনও বা তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদের সঙ্গে তাঁর ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বারবার সেটাই জানান দিচ্ছিল।