বিজেপির ঘর ছাড়লেন বনি

একের পর এক ভাঙ্গন দেখছে বিজেপি। বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। সেই সময় এই নিয়ে খুবই চর্চা হয়েছিল কারণ তাঁর প্রেমিকা কৌশানি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। তবে বাংলার উন্নয়ন এবং মানুষের হয়ে কাজ করার স্বার্থে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বনি। অন্তত তিনি এমনটাই জানিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের ফলাফল বেরনোর ৮ মাসের মধ্যেই গেরুয়া শিবিরের ‘মোহ’ ভঙ্গ হল তাঁর। বিজেপি ছাড়লেন অভিনেতা বনি। তবে দল ছাড়ার আগে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি।

এদিন দল ছাড়া ইস্যুতে টুইট করেছেন বনি। সেখানে তিনি লিখেছেন, ”ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে আমার যা সম্পর্ক ছিল তা আজ থেকে শেষ হচ্ছে। দল যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পুরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং আমি বাংলার তথা বাংলার ইন্ডাস্ট্রিরও কোনও উন্নয়ন দেখতে পায়নি যে উন্নয়নের কথা বিজেপি বলেছিল।” টুইটে বিজেপি ছাড়ার ব্যাপারে স্পষ্ট করলেও তিনি অন্য কোনও দল বা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন কিনা সেই ইস্যুতে কিছুই ইঙ্গিত দেননি। উল্লেখ্য, তৎকালীন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপিতে নাম লেখান বনি। ভোটের আগে রাজীব নিজেও দল বদল করেছিলেন এবং তিনিও সম্প্রতি আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছেন।

আসলে একুশের নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ের পর থেকেই বিজেপির ভাঙন অব্যাহত৷ কার্যত গৃহযুদ্ধর আগুনে পুড়ছে রাজ্য বিজেপির অন্দরমহল৷ রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ইতিমধ্যেই বহু নেতা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন৷ এর মধ্যে রয়েছেন বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও। বিধানসভা নির্বাচনের পর উপনির্বাচন এবং কলকাতায় পুরসভা নির্বাচনেও তারা ধরাশায়ী৷ ইতিমধ্যেই একে একে অনেক নেতা দল ছেড়েছেন। পাশাপাশি অনেকেই এখন বিক্ষুব্ধ। তাই অবশ্যভাবেই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর বিরাট চাপ বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে অস্বস্তি।