ওয়াটগঞ্জে মহিলার ধড়হীন মাথা উদ্ধারে, আটক দেওর

৩ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন মহিলা। ওয়াটগঞ্জকাণ্ডে পরিবারের লোকেরা মৃত মহিলাকে শনাক্ত করলেন। মিলল পরিচয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ, তাঁকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। পুলিস স্বামীর সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে। জাতীয় মহিলা কমিশন ৪ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব করল। খিদিরপুরের ওয়াটগঞ্জে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে পড়েছিল কালো প্লাস্টিকে মোড়ানো কয়েকটি ব্যাগ। দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল অনেক। এলাকার কয়েকজনের সন্দেহ হওয়ায় থানায় খবর দেন। পুলিস আসে। গতকাল, মঙ্গলবার এক মহিলার ধড়হীন মাথা ও হাত প্লাস্টিকে মোড়ানো ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়। কিন্তু মৃতার পরিচয় জানা যায়নি, এবার জানা গেল।

পুলিস সূত্রে খবর, মুখটি বোঝা যাচ্ছিল স্পষ্ট। সেই সূত্র ধরেই আশেপাশ ও শহরের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর শুরু হয়। জানা যায়, ওয়াটগঞ্জের কাছেই খিদিরপুরে পদ্মপুকুরে এক মহিলার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর আজ, বুধবার তাঁর দুই বোন মৃতাকে শনাক্ত করেন। ওই মহিলার নাম দুর্গা সরখেল। তিনি পদ্মপুকুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ময়নাতদন্তে রিপোর্টে উল্লেখ, দুর্গাকে প্রথম ধারালো অস্ত্র দিয় গলা কেটে খুন করা হয়। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে দেহ টুকরো টুকরো করা হয় এবং ঘটনাটি ঘটে দেহ উদ্ধারের ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টাকে আগে! আটক করা হয়েছে মৃতের দেওর নীলাঞ্জন সরখেলকে। মত্ত অবশ্য তিনিই বৌদিকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। খতিয়ে দেখছে পুলিস।