আবার একবার দলের মাঝেই কোন্দল। বরাবরই গেরুয়া শিবির মাঝে কোন্দল লেগেই থাকে। হুগলি জেলার বিজেপি সাংসদ বনাম তৃণমূল বিধায়ক–মন্ত্রীর দ্বৈরথে সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। এবার সেই সংক্রান্ত চিঠি পাঠালেন বেচারামের আইনজীবী। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বেচারামের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার যে অভিযোগ লকেট এনেছেন, তার জন্য তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। নচেৎ তাঁর বিরুদ্ধে দু’কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হবে।
বিষয়টা ঠিক কী? সম্প্রতি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয় কলকাতা হাই কোর্ট৷ বেআইনি নিয়োগের অভিযোগে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ ওই ২৬৯ জনের মধ্যে শুধু হুগলি থেকেই রয়েছেন ৬৮ জন। যা নিয়ে শোরগোল বেঁধছে৷ সেই আবহেই সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারামের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ আনেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি সাংসদের দাবি, নিজের বক্তব্যের সমর্থনে তাঁর কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণও রয়েছে। বেচারামের উদ্দেশে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে লকেট এও বলেন, ‘‘যাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে, তাঁদের এবার কী ভাবে উনি টাকা ফেরত দেন, সেটাই দেখতে চাই।’’
যদিও সেই সময় লকেট নিজের বক্তব্যের সমর্থনে কোনও তথ্য পেশ করেননি৷ এর পরেই পাল্টা মানহানির মামলা করার হুমকি দেন বেচারাম মান্না৷ তিনি জানান, বিজেপি সাংসদ যে অভিযোগ করেছেন, তার জন্য ক্ষমা না চাইলে ২ কোটি টাকার মানহানি মামলা করবেন৷ শুধু তাই নয়, বুধবার লকেটের বাড়ির ঠিকানায় আইনি চিঠিও পাঠান শ্রমমন্ত্রীর আইনজীবী৷ সেখানে লেখা হয়েছে, ‘লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যে রাজ্যের মন্ত্রীর সম্মানহানি হয়েছে। তাঁর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করা হয়েছে। তিনি মানসিক অশান্তির মধ্যে রয়েছেন। এর জন্য সাংসদ ভুল স্বীকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে, তাঁর বিরুদ্ধে দু’কোটি টাকার মানহানির মামলা করা হবে।’