নোবেল চুরির সঙ্গে জড়িত তৃণমূল কংগ্রেস, কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপি নেতার

দেখতে দেখেতে কবিগুরুর জন্ম-সার্ধশতবর্ষের আরও একদশক পেরিয়ে গেল। এবছর তাঁর ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী। রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে কবিগুরুর জন্মজয়ন্তী। তবে শুধু এ রাজ্যে বললে ভুল হবে, দেশ-বিদেশেও পালন করা হচ্ছে কবিগুরুর জন্মদিন। কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ (১৮৬১ সালের ৭মে) জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মূলত, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীত রচয়িতা-সুরকার, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী,, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, সংগীতশিল্পী ও দার্শনিক। নতুন পথের নয়া দিগন্ত রচিত হয়েছিল তাঁর লেখণীতে। যেকারনে ১৯১৩ সালে সাহিত্যের জন্য পেয়েছিলেন নোবেল পুরস্কার ও। তবে ২০০৪ সালের ২৫ মার্চে, রবীন্দ্রভবনের সংগ্রহশালা থেকে নোবেল পদকটি চুরি হয়ে যায়। তাই চুরি যাওয়া নোবেল পদক অবিলম্বে উদ্ধার করুক সিবিআই নইলে তদন্ত বন্ধ রাখা হোক! এই দাবি জানিয়ে পথে নামছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সিবিআই দায়িত্ব ছাড়লে হারানো নোবেল খোঁজার তদন্ত কমিটি গঠন করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। বলে রাখা ভালো, বেশ কয়েক বছর আগে বিশ্বভারতীতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, নোবেল চুরির তদন্তে সিবিআই কী করেছে তা তাঁর জানা নেই। তবে তদন্তের সুযোগ পেলে রাজ্যের গোয়েন্দারা আর একবার চেষ্টা করবেন। কিন্তু সেই সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২৫ মার্চ সকালে জানা যায়, রবীন্দ্রভবনের সংগ্রহশালা থেকে নোবেল পদক চুরি হয়ে গিয়েছে। একইসঙ্গে আরও ৫০টি মূল্যবান জিনিসও চুরি হয়। ছ’দিন পরেই তদন্তভার নেয় সিবিআই। প্রথম পর্যায়ের তদন্ত চলে ২০০৪ সাল থেকে ২০০৭ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত। তিন বছর ধরে তদন্তের পর আর কোনও সূত্র না মেলায় প্রায় এক বছর তদন্তের কোনও কাজই হয়নি। ফের নতুন সূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করে ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আদালতে ফের তদন্ত শুরু করার আবেদন করে সিবিআই। কিন্তু একইরকমভাবে ২০০৯ সালে আগস্টে আবার সিবিআই আদালতকে জানায়, তদন্ত এগোচ্ছে না। ফলে তা বন্ধ করার অনুমতি দেওয়া হোক। ২০১০-এর ৫ আগস্ট আদালত অনুমতি দেয়। ব্যস, এরপর থেকে নোবেল নিয়ে সিবিআই তাঁর মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে। 

পাশাপাশি এদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার চুরি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা জানিয়েছেন, “তৃণমূলের যে প্রচার মুখপাত্র তাতে বলা হয়েছে যে নোবেল পুরস্কার কোথায় গেল। সিবিআই যাতে নোবেল খুঁজে না পায়, তার জন্য সব অসহযোগিতা রাজ্য সরকার করেছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে রাজ্য সরকার তদন্তে বাধা করেছে। আজকে জিজ্ঞাসা করছে নোবেল কোথায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুঁজে দিন। উনি তো বলেছিলেন নোবেল কেউ খুঁজে না পেলে, উনি খুঁজে দেবেন। বাংলার সব চুরির সঙ্গে তৃণমূল জড়িত। নোবেল চুরির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত’।