লক্ষ্য এখন একটাই, আগামী নির্বাচন। চারিদিকে ভোটার দামামা বেজে গিয়েছে৷ তৎপরতা তুঙ্গে৷ চলছে সমীক্ষা, তৃতীয়বার মসনদ দখলের লড়াইয়ে মরিয়া পদ্ম শিবির৷ কিন্তু, ভোটের আগে দলীয় মূল্যায়নে মাথায় হাত বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃত্বের। দেশজুড়ে মোট ১৬০টি আসনকে ‘দুর্বল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে গেরুয়া শিবির। এই আসনগুলিতে জেতা বিজেপি’র পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হবে৷ ‘দুর্বল’ আসনগুলির উপর কব্জা জমাতে আসরে নামছেন তিন শীর্ষ পদাধিকারী। দায়িত্বে থাকছেন স্বয়ং বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। বাকি অর্ধেক আসনের উপর নজরদারি চালাবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এবার আসা যাক মহারাষ্ট্রের কথায়৷ সেখানেও একাধিক আসন রয়েছে দুর্বলের তালিকায়৷ বিজেপি’র কাছে চব্বিশের লড়াই কঠিন হয়ে উঠবে৷ সেক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পথে তাদের হাতে থাকবে মাত্র ৩৮৩টি আসন। দলীয় সূত্রের ব্যাখ্যা, সার্বিকভাবে এনডিএর আসন সংখ্যা বিশ্লেষণ করা হলে নিশ্চিত ভাবেই উল্লিখিত পরিসংখ্যানে কিছুটা পরিবর্তিত আসবে। চব্বিশ পর্যন্ত বজায় থাকলে ২৭২-এর ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতেও বেশ বেগ পেতে হবে পদ্ম শিবিরকে।
দলের অন্যতম সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘গত লোকসভা ভোটে যে আসনগুলিতে বিজেপি পরাজিত হয়েছিল, সেই আসনগুলি নিয়ে যাবতীয় পরিকল্পনা চলছে। হেরে যাওয়া আসনগুলির মধ্যে শরিক দলেরও নির্বাচনী কেন্দ্র রয়েছে। গত লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়া আসনগুলিতে ২০২৪ সালে যাতে ভালো ফল করা যায়, সেই উদ্দেশ্যেই দুর্বল আসনগুলি চিহ্নিত করে রণকৌশল তৈরি করে নেওয়া হচ্ছে।’