লক্ষ্য এখন একটাই, আগামী নির্বাচন। চারিদিকে ভোটার দামামা বেজে গিয়েছে৷ তৎপরতা তুঙ্গে৷ চলছে সমীক্ষা, তৃতীয়বার মসনদ দখলের লড়াইয়ে মরিয়া পদ্ম শিবির৷ কিন্তু, ভোটের আগে দলীয় মূল্যায়নে মাথায় হাত বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃত্বের। দেশজুড়ে মোট ১৬০টি আসনকে ‘দুর্বল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে গেরুয়া শিবির। এখন থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
মহারাষ্ট্রে গতবার তারা শিবসেনার সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করেছিল। কিন্তু শিবসেনার শিন্ডে শিবির শুধুমাত্র তাদের সঙ্গে রয়েছে। উদ্ধব ঠাকরে বহুদিন আগেই বিজেপির হাত ছেড়েছেন। বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছে জেডিইউ। তাই বিহারে বিজেপির ফল আগামীদিনে কতটা ভাল হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। একই ভাবে পাঞ্জাবেও বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেছে অকালি দল। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যভিত্তিক পৃথক পৃথক পরিকল্পনা করছে গেরুয়া শিবির। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিজেপি বিশেষ পরিকল্পনা করে এগোচ্ছে বলে খবর।
সব মিলিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে যে আসনগুলি রয়েছে সেগুলি নিয়ে রণকৌশল ঠিক করতে ব্যস্ত বিজেপি নেতৃত্ব। আসলে বিজেপি চায় একার জোরেই ম্যাজিক ফিগার ২৭২ পেরিয়ে যেতে। গতবার তারা একাই ৩০০ পেরিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চব্বিশের লড়াই আরও কঠিন হবে বলে নেতৃত্ব মনে করছেন। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তা রয়েছে তাদের। তাই দলের দুই শীর্ষ নেতা অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডা চব্বিশটি লোকসভা কেন্দ্রে পালা করে সভা করতে চলেছেন নতুন বছর জুড়ে।