জিটিএ (GTA) নির্বাচন ঘোষণা হতেই অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকেই অনশনে বসছেন তিনি।বরাবর নির্বাচনের বিপক্ষে ছিলেন গুরুং।এবিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও লিখেছিলেন তিনি।কিন্তু তারপরেও জিটিএ নির্বাচন ঘোষণা হওয়ায় ক্ষুব্ধ বিমল অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নেন।
যদিও অন্যান্য দল এটাকে আমল দিতে নারাজ।পাহাড়ে ফিরে এসে বিমল গুরুং জোট বাঁধে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই।পাহাড়ের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার কথাও জানান স্বয়ং গুরুং। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, “পাহাড়ের স্বার্থে রাজ্য সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে মেনে নেব”।কারণ, কেন্দ্র শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ নির্বাচন করানোর কথা বলতেই বেঁকে বসেন বিমল। সম্প্রতি এই নির্বাচন স্থগিত করার অনুরোধ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও পাঠান তিনি। যদিও তাতে কর্ণপাত না করেই নির্বাচন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এতেই বেজায় চটে যান গুরুং।
কারণ, চিঠি পাঠানোর সময়ই বলেছিলেন তার দাবি মানা না হলে তিনি অনশনে বসবেন।সেই কারনে বুধবার থেকেই অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গুরুং। যখন সকলে নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত তখন বিমলের এহেন পদক্ষেপ নানান প্রশ্নও তুলে দিল। পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বিমল পুরনির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছিল। সে হঠাৎ সরাসরি রাজ্যের বিরুদ্ধে চলে যাওয়ায় হতবাক পাহাড়বাসীও। দুই দলের সম্পর্কের ফাটলও স্পষ্ট হয়ে গেল। এদিন নির্বাচন ঘোষণা হতেই কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বসে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।