একের পর এক বিপদ হানছে দেশের ওপর। দেশের পশ্চিমপ্রান্ত যখন ঘূর্ণিঝড় ‘তকত’-এর রোষানলে কাঁপছে, পূর্বপ্রান্ত তখন প্রথম জ্যৈষ্ঠের দাবদাহে পুড়ছে। ‘তকত’-এর তান্ডবলীলায় লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্র ও গুজরাট। দেশের পাশাপাশি বিপদ থেকে বাদ যাচ্ছে না রাজ্যও। করোনা পরে রাজ্যেও আসতে চলেছে আরও বড় এক বিপদ। মে-র শেষে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব দেখতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। আগামী ২৩ মে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় পরিণত হলে তার নাম হবে ‘ যশ ‘। ওমানের দেওয়া নাম নিয়ে পূর্ণশক্তি সঞ্চয় করে ২৪-২৫ মে বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ‘যশ’।
আমফানের মতো শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও লাগোয়া এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর ২০ মে রাজ্যের উপকূলে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় আমফান। উল্লেখ্য, গত বছর আমফান ঝড়ের তাণ্ডবে তছনছ হয়েছিল সুন্দরবন এলাকা। ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল কলকাতাতেও। করোনা আবহে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে সমস্যায় পড়েছিলেন বঙ্গবাসীরা। এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাঁপছে বাংলা। এদিকে, আরব সাগরে তৈরি ঘূর্ণিঝড় ‘তাওকতে’ সদ্য দেশের একাংশে তাণ্ডব চালিয়েছে।