প্রকাশ্যে এলো বড় তথ্য, হাইকোর্টে জমা পড়েনি প্রায় তিন হাজার আবেদন পত্র

কিছুদিন আগেই রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল হয়েছে পরিস্থিতি। এবার এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নিয়ে আরও বড় তথ্য সামনে এল এবার। আবেদনপত্র নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মুখ পুড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। কারণ তাদের কাছে নাকি প্রায় ৩ হাজার আবেদনপত্রই নেই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এ সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আবেদনপত্র জমা দিতে পারেনি পর্ষদ। তবে অন্য নথি তারা জমা দিয়েছে আদালতে।

আসলে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২১ লক্ষ প্রার্থী পরীক্ষা দেন। দেড় লক্ষ পাশ করেন। তবে মামলাকারীদের অভিযোগ, যে ২ হাজার ৭৮৭ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে তারা পরীক্ষাই নাকি দেননি, চাকরির আবেদনও করেননি। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাদের চাকরির আবেদনপত্র আদালতের কাছে জমা দিতে পর্ষদকে বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

কিন্তু পর্ষদ জানিয়েছে ওই আবেদনপত্রগুলি নাকি খুঁজেই পাওয়া যায়নি। এক কথায় সেগুলি তাদের কাছে নেই। যদিও বাকি যে নথি আদালত জমা করতে বলেছিল তা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তার মধ্যে আছে দ্বিতীয় মেধাতালিকা, পরীক্ষার্থীদের বাড়তি এক নম্বর করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রস্তাবপত্র।

ইতিমধ্যেই মামলাকারীরা আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করে দাবি করেছে, পর্ষদ এক নাবালককেও চাকরির পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিয়েছিল। শুধু তাই নয় তাঁকে পরে চাকরিও দেওয়া হয়! যদিও যে অকৃতকার্য ছিল। মামলাকারীরা জানাচ্ছেন, তাঁকে ২০১৭ সালে প্রাথমিকের শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করার নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। দাবি করা হচ্ছে, এইভাবে অনেক নাবালককেই চাকরির নিয়োগ পত্র দিয়েছে তারা।