এই মুহূর্তে বেশ খানিকটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি যাচ্ছে রাজ্য সরকারের৷ শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলা নিয়ে চাপের মধ্যে রয়েছে পৰিস্থিতি৷ দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় রাজ্য৷ নাম জড়িয়েছে হেভিওয়েট ব্যক্তিত্বদের৷ ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে৷ অপর একটি দুর্নীতি মামলায় দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীকে৷ শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ নিয়ে মুখ পুড়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের৷
এই পরিস্থিতিতে নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতে নয়া উদ্যোগ নিল এসএসসি৷ দীর্ঘ প্রশ্নের বদলে ওএমআর শিটে পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে কর্তৃপক্ষ৷ সেই সঙ্গে কাউন্সিলিং পর্বে দুর্নীতি রুখতেও বেশ কিছু পদক্ষেপ করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে৷ তবে পুরো বিষয়টাই আপাতত চিন্তাভাবনার স্তরে রয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন৷ সরকার এই বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিলে তবেই নয়া নিয়ম কার্যকর করা হবে৷
কমিশন সূত্রে খবর, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পরীক্ষা থেকে নিয়োগ পর্ব- পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ভাবে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে শেষ করার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে৷ এক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষপই হবে ওএমআর শিটে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা৷ অর্থাৎ দীর্ঘ উত্তরের বদলে ছোট প্রশ্নের মাধ্যমে পরীক্ষা নিতে চাইছে কমিশন। উল্লেখ্য বিষয় হয়, ওএমআর শিটে স্ক্যান-এর সুবিধা থাকছে৷ ফলে ভুয়ো পরীক্ষার্থী ধরা পড়বে সহজেই৷ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর শুরু হবে কাউন্সেলিং পর্ব। এই পর্বের সময়সীমাও সংক্ষিপ্ত করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করেছে এসএসসি।
প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগে ‘সিঙ্গল ক্যাডার পোস্ট’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হত৷ সেখানে ‘লিঙ্গ’ এবং ‘মাধ্যম’ দেখা হল। অর্থাৎ, ‘গার্লস স্কুলে’ প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলাকে এবং ‘বয়েজ স্কুলে’ পুরুষদের অগ্রাধিকার দেওয়া হত। পাশাপাশি থাকত ইংরেজি বা বাংলা মাধ্যমে নিয়োগের বিষয়টিও৷ তার সঙ্গে জুড়ছে সংরক্ষণের বিষয়টিও।