খুলছে ভুটান গেট, এন্ট্রি ফি মকুব-খুশি পর্যটকরা

আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর জয়গাঁয় ভুটান গেট খুলছে। অর্থাৎ মহালয়ার দু’দিন আগেই প্রশস্ত হচ্ছে আসা যাওয়া। সেইসঙ্গেই প্রতিবেশী দেশ থেকে এল বড় সুখবরও। ভারতীয় অভিবাসন দপ্তরের মাধ্যমে ভুটান জানিয়ে দিয়েছে পর্যটকদের ওই দেশে ঘুরতে এন্ট্রি ফি’র জন্য কোনও টাকাপয়সা আর দিতে হবে না। সচিত্র ভোটার কার্ড অথবা পাসপোর্ট দেখালেই ভুটানে ঢোকার ছাড়পত্র মিলবে।এই খবরে খুশি পর্যটকরা।
এদিকে কীভাবে এন্ট্রি পাস জোগাড় করতে হবে, তা নিয়ে আলোচনার জন্য আজ, মঙ্গলবার ভুটানের পক্ষ থেকে জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি প্রকাশচিক বরাইক ও দলের কালচিনি ব্লক সভাপতি বীরেন্দ্র বড়া ওঁরাও সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে জয়গাঁ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদেরও। জয়গাঁয় ভুটান গেটের ওপারে ফুন্টশোলিংয়ে ওই আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। জেডিএ চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদবাবু বলেন, মঙ্গলবার ফুন্টশোলিংয়ে যাচ্ছি। ভুটান বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে, ওদের দেশে যেতে ভারতীয়দের এন্ট্রি ফি’র জন্য আর কোনও টাকা দিতে হবে না। কিন্তু, ভারতীয়রা ভুটানে এবং ভুটানের নাগরিকরা এপারে তিনহাজার টাকার বেশি মূল্যের জিনিসপত্র কিনলে তাঁদের ‘ব্যাগেজ অ্যালাউন্স’ ট্যাক্স দিতে হবে। বৈঠকে ভুটানের আধিকারিকদের কাছে আবেদন রাখা হবে, জিনিসপত্র কেনাকাটায় ‘ব্যাগেজ অ্যালাউন্স’ বাবদ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত যেন ছাড় দেওয়া হয়। মৃদুলবাবু বলেন, মঙ্গলবারের বৈঠকে যাচ্ছি। জয়গাঁ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রামাশঙ্কর গুপ্তা বলেন, ভুটান গেট খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জয়গাঁর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলেই আমাদের আশা। গত দু’বছরে জয়গাঁর অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল। মঙ্গলবার ভুটানের ডাকা বৈঠকে যাচ্ছি। আবেদন রাখব তিনহাজার টাকার পরিবর্তে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জিনিসপত্র কেনাকাটায় যেন কর ছাড় দেওয়া হয়। 
প্রসঙ্গত, ভুটানে ঢোকার জন্য আগে এন্ট্রি ফি মাথাপিছু ১০০ টাকা করে নেওয়া হতো। নয়া নির্দেশিকায় এই ফি’র জন্য আর কোনও টাকা দিতে হবে না। তবে ভুটানের বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয়দের ওই দেশে রাত্রিবাসের জন্য ‘সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট ফি’ আগের মতোই দিতে হবে কি না তা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্যই করা হয়নি। ভুটানে রাত্রিবাসের জন্য সাসটেনেবল ডেভেলপমেন্ট ফি বাবদ মাথাপিছু ১২০০ টাকা করে নেওয়া হয়।