পুজোর মুখে ফের বন্ধ ভাটপাড়ার রিলায়েন্স জুটমিল, কর্মহীন সাড়ে চার হাজার শ্রমিক

ব্যবধান মাত্র ২ মাসের। ফের বন্ধ হয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার রিলায়েন্স জুটমিল। পুজোর মুখে কাজ হারালেন হাজার চারেক শ্রমিক। কেন সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝোলানো হল? মিলের গেটের সামনে রাস্তা অবরোধ করে চলল বিক্ষোভ। এ বছরের শুরুতে প্রায় ৩ মাস উৎপাদন বন্ধ ছিল ভাটপাড়়ার রিলায়েন্স জুটমিলে। মাস দুয়েক আগে অবশ্য খুলেছিল জুটমিলটি। কাজও চলছিল পুরোদমে। এদিন সকালেও যথারীতি কাজ যোগ দিতে এসেছিলেন শ্রমিকরা। কিন্তু ততক্ষণে গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ! কেন? নোটিসে উল্লেখ, শ্রমিক অসন্তোষের কারণেই রিলায়েন্স জুটমিল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

এদিকে পুজোর মুখে ফের রিলায়েন্স জুটমিল বন্ধ হওয়া যাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। জুটমিলের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অবরোধের জেরে ব্য়াহত হয় যান চলাচল। শেষপর্যন্ত পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্রেফ রিলায়েন্স জুটমিলই নয়, গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে তালা ঝুলছে হুগলি শিল্পাঞ্চলের একের এক জুটমিলে। চলতি বছরের প্রথমদিনেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হুগলির চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল। ঝাঁপ পড়েছে চাঁপদানির নর্থব্রুক জুটমিলে। বাদ যায়নি রিষড়ার ওয়েলিংটন জুটমিল, শ্রীরামপুরের ইন্ডিয়া জুটমিল এবং ভদ্রেশ্বরের শ্যামনগর জুটমিলও।  কাজ হারিয়েছেন হাজার হাজার শ্রমিকরা।

এর আগে, রাজ্যে পাট শ্রমিকদের দুরবস্থা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিলেন ব্যারাকপুরের তৎকালীন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। নিশানা করেছিলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী পীষূষ গোয়েলকে। এমনকী, এ রাজ্য়ে জুটমিলগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠিও লিখেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপর বিজেপি ছেড়ে নিজের পুরনো দল তৃণমূলে ফেরেন অর্জুন। ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিতিতে রাজ্যের শাসকদলের যোগ দেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন  জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, রাজ চক্রবর্তী, পার্থ ভৌমিক-সহ তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার জেলার নেতারাও।