ছোটদের টিকাকরণে পিছিয়ে বাংলা

করোনা সংক্রমণকে রুখতে জরুরি টিকাকরণ৷ ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণে পিছনের সারিতে বাংলা৷ এখনও পর্যন্ত বাংলায় ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মাত্র ৫৩ শতাংশ টিকাকরণ হয়েছে৷ দাদরা নগর হাভেলির সঙ্গে দেশের মধ্যে সবচেয়ে পিছনে রয়েছে বাংলা৷ অন্যদিকে ৯১ শতাংশ টিকাকরণ সম্পন্ন করে দেশের মধ্যে ফার্স্ট অন্ধ্রপ্রদেশ৷ ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ নিয়ে এমনই রিপোর্ট দিল কেন্দ্র৷ 

এদিকে ১৮ অনুর্ধ্বদের ওমিক্রন চিকিৎসায় নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করেছে কেন্দ্র৷ সেখানে রেমডিসিভির, অ্যান্টিবডি ককটেল না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ বলা হয়েছে, অক্সিজেনের মাত্রা ৯৩ শতাংশের নীচে নেমে গেলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে৷ এছাড়াও গাইডলাইনে বলা হয়েছে, মৃদু উপসর্গ থাকলেও স্টেরয়েড ব্যবহার করা যাবে না৷ একমাত্র গুরুতর অসুস্থদের ক্ষেত্রে স্টেরয়েডের প্রয়োগ করা যাবে৷ এছাড়াও করোনা মুক্ত হওয়ার পরেও ২ মাস পর্যবেক্ষণে রাখার কথা বলা হয়েছে কেন্দ্রের গাইডলাইনে৷ 

এ প্রসঙ্গে শিশুরোদ বিশেষজ্ঞ জয়দেব রায় বলেন, ‘‘দেখা যাচ্ছে শিশুরা ওমিক্রন আক্রান্ত হলেও তা গুরুতর আকার নিচ্ছে না৷ সিমটোম্যাটিক ট্রিটমেন্টেই তারা সুস্থ হয়ে যাচ্ছে৷ সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রের এই গাইডলাইনের সঙ্গে আমি একমত৷’’   প্রসঙ্গত, চলতি বছর ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের কোভিড টিকাকরণ শুরু হয়েছে ভারতে। টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই এই বয়স সীমার মধ্যে ৫০ শতাংশের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। সম্প্রতি এ বিষয়ে একটা টুইট করেন মাণ্ডব্য৷ সেই টুইটটি রিটুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।