গতকাল (রবিবার) সরাসরি ফিরহাদ হাকিমকে কটাক্ষ করার পর, এবার তিনি বিস্ফোরক রাজ্যের আরেক মন্ত্রীকে নিয়ে। সূত্রের খবর, এমপি, এমএলএ কোর্টে আজ হাজিরা দিতে যান কুণাল ঘোষ। মুলত, আত্মহত্যার চেষ্টার মামলায় এদিন তিনি হাজিরা দেন। এবং আদালতে সোমবার বিচারকের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন কুণাল ঘোষ। কাঠগড়ায় চোখের জল ফেলে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আইকোর মামলায় মঞ্চে যিনি বক্তৃতা করেছেন, তিনি আমায় পাগল বলেছিলেন’। এখানেই থামেননি তিনি। নাম না করেই তিনি বলেন, ‘তিনি মন্ত্রী হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, জেলে ঢোকানো দরকার’। উল্লেখ্য, তৃণমূলের মুখপাত্রের মুখে এই মন্তব্যকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দলের অন্দরে।
পাশাপাশি, কুণাল আরও জানিয়েছেন, একদিন দাঁতের যন্ত্রণায় তিনি ভুগছিলেন। কিন্তু তাঁর চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। অথচ এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা হয়েছে প্রভাবশালীদের। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ ‘হাসপাতাল নাকি কয়েদীদের আশ্রয়খানা?’। তবে এবার ঠিক কাকে নিশানা করলেন কুণাল ঘোষ? কে সেই মন্ত্রী? কারা উডবার্ন ওয়ার্ডকে আশ্রয়খানা বানিয়েছেন? আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কুণাল ঘোষ।
এদিকে প্রশ্ন উঠছে, অনুব্রত মণ্ডলও বর্তমানে ভর্তি এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে। তবে কি এবার অনুব্রতকেই নিশানা করলেন কুণাল? নাকি মদন মিত্রকে? কারন সম্প্রতি একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মদন বাবু জানিয়েছিলেন, এসএসকেমে ভর্তি হবার ব্যাপারে আমার থেকে বেশি অভিজ্ঞতা আর কারও নেই, কারন আমার যা যা হয়েছিল, তা যদি আপনার বা আপনার পরিবারের কারও সাথে হত, তাহলে নন্দলাল হয়ে বসে থাকতেন।