তিনি মেডিসিনের এমডি, অর্থনীতিবিদও। কোভিড অতিমারির সময়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে লকডাউন, বাধ্যতামূলক কোভিড টিকাকরণের মতো সরকারি নীতির বিরোধিতা করায় এক সময় টুইটারের মতো সমাজমাধ্যমে তাঁর প্রোফাইল নিষিদ্ধ করা হয়। সেই সব বিতর্ক সরিয়ে নতুন জমানায় সেই বঙ্গসন্তান জয় ভট্টাচার্যের উপরে আস্থা রাখলেন আমেরিকার ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাম্প্রতিক ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথএর পরবর্তী ডিরেক্টর হিসেবে জয়েরই নাম মনোনীত করলেন তিনি।
জয়ের জন্ম ১৯৬৮ সালে, কলকাতায়। তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় পাড়ি দেন। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে মেডিসিনে এবং ২০০০ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেন। ৫৬ বছরের এই চিকিৎসক-অর্থনীতিবিদ বর্তমানে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক। স্ট্যানফোর্ডে তিনি অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণায় নীতি নির্ধারণের দায়িত্বেও রয়েছেন। ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকনমিক্স রিসার্চের গবেষক তিনি। স্ট্যানফোর্ড ইনস্টিটিউট ফর ইকনমিক পলিসি রিসার্চ, স্ট্যানফোর্ড ফ্রিম্যান স্পগলি ইনস্টিটিউট এবং হুভার ইনস্টিটিউটে তিনি সিনিয়র ফেলো। স্ট্যানফোর্ডের সেন্টার ফর ডেমোগ্রাফি অ্যান্ড ইকনমিকস অব হেলথ অ্যান্ড এজিং-র ডিরেক্টর জয়।
এনআইএইচ হল বিশ্বের বৃহত্তম সরকার পোষিত বায়োমেডিক্যাল গবেষণা বিষয়ক সংস্থা।আগামী দিনে এনআইএইচ-এর পরিচালক হিসেবে জয় ২৭টি প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা কেন্দ্রের দায়িত্ব নেবেন। চিকিৎসা বিজ্ঞান সংক্রান্ত যাবতীয় গবেষণা চলবে তাঁর তত্ত্বাবধানে। একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের গবেষণা হোক বা অতিমারির মোকাবিলায় তৈরি টিকা, নতুন ওষুধ আবিষ্কার এবং তার কার্যকারিতা যাচাই, সব কিছুই হবে জয়ের নজরদারিতে,তাঁর অনুমোদনে। এনআইএইচ-এর অধিকর্তা হিসেবে জয়ের নাম মনোনীত করার পরে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, ‘গবেষণায় এনআইএইচ-এর স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে কেনেডির (রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র) সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করবেন জয়।’V