বাজাজ অ্যালিয়ানজ লাইফ ইন্স্যুরেন্স ত্রিপুরা রাজ্যের বীমা সচেতনতার জন্য জীবনের প্রধান বীমাকারী হিসাবে বীমা নিয়ন্ত্রক ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আইআরডিএআই) দ্বারা মনোনীত হয়েছে। আইসিআইসিআই লোমবার্ড জিআইসি লিমিটেড নন-লাইফ সেগমেন্টে প্রধান বীমাকারী হিসাবে একটি রাজ্য স্তরের বীমা কমিটি গঠন করেছে।রাজ্য-স্তরের বীমা কমিটির লক্ষ্য হল বীমাহীন নাগরিকদের সাশ্রয়ী মূল্যের বীমা পরিষেবা প্রদান করা। বাজাজ অ্যালিয়ানজ লাইফ এবং আইসিআইসিআই লোমবার্ড বীমা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বীমা জ্ঞান এবং আর্থিক সাক্ষরতার প্রচার করবে। কমিটি দক্ষতা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, চাহিদার ক্ষমতায়ন, এবং অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার উপর জোর দিয়েছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে, লক্ষ্য হল একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, গ্রাহক-কেন্দ্রিক বীমা ইকোসিস্টেম গঠন করা।
বাজাজ অ্যালিয়ানজ লাইফ-কে ত্রিপুরার রাজ্য বীমা প্রকল্পের প্রধান বীমাকারী হিসাবে নিযুক্ত করার বিষয়ে, কমপ্লায়েন্স এবং এফপিইউ-এর হেড লিগ্যাল অনিল পিএম বলেছেন, “অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২-২৩ অনুসারে, ভারতের বীমা অনুপ্রবেশ ঘটেছে, যা ২০০০ সালে ২.৭% থেকে ২০২১ সালে ৩.২%-এ বৃদ্ধি হয়েছে। বীমাকারী এবং গ্রাহকরা যে সমস্যাগুলির সম্মুখীন হচ্ছেন তা মোকাবেলা করার জন্য সচেতনতামূলক প্রচেষ্টার পাশাপাশি নীতি-স্তরের হস্তক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
আইআরডিএআই (নন-লাইফ) এর সদস্য থমাস দেবাসিয়া, বলেছেন, “টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নোয়নের ক্ষেত্রে বীমা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য, যা সচেতনতার অভাবে সমাজের অংশগুলিকে ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে৷ আইআরডিআই -এর মাধ্যমে রাজ্য স্তরের বীমা কর্মসূচি, ‘২০৪৭ সালের মধ্যে সকলের জন্য বীমা’-এর দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্য তৈরী করে। রাজ্য প্রশাসন এবং মনোনীত লিড ইন্স্যুরেন্সের নেতৃত্বে, এই শিল্প-ব্যাপী প্রচেষ্টার লক্ষ্য হল যাদের বীমা করা হয় নি তাদের জন্য কভারেজের প্রসার করা, এবং তাদের বীমার আওতায় নিয়ে আসা। মুখ্য সচিব শ্রী জে কে সিনহার অধীনে, ত্রিপুরা সরকারের কাছ থেকে বিশেষ সমর্থন পেয়েছে, যা এই উদ্যোগটির প্রাথমিক সাফল্যের ক্ষেত্রে গতি আনার জন্য প্রধান বীমাকারী – বাজাজ অ্যালিয়ানজ লাইফ এবং আইসিআইসিআই লম্বার্ড জেনারেল ইন্স্যুরেন্স এবং বীমা শিল্পকে নিশ্চিত করেছে।”
ত্রিপুরা সরকারের মুখ্য সচিব জিতেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, “ত্রিপুরা রাজ্য তার জনগণ এবং এর আর্থিক বাস্তুতন্ত্রের অগ্রগতির জন্য নিবেদিত। টেকসই উন্নয়ন সক্ষম করার জন্য আর্থিক ঝুঁকির নিবারণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য, আমরা এই রাজ্যের বীমাকারীদের সাথে আইআরডিএআই-কে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত, যা এই অঞ্চলে বীমা অনুপ্রবেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উন্নতি করবে। এই প্রচেষ্টাগুলি মৃত্যু, অসুস্থতা বা অক্ষমতার বিরুদ্ধে আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করার পাশাপাশি আয় সুরক্ষা, গ্রুপ বীমা প্রকল্পগুলির মাধ্যমে এমএসএমই-গুলিকে সুরক্ষিত করার জন্য, বিনিয়োগের মাধ্যমে রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নকে সক্ষম করবে। আমরা এই কমিটির প্রশংসা করি এবং ত্রিপুরাকে অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির বিরুদ্ধে আর্থিকভাবে সুরক্ষিত করতে টেকসই সহায়তা নিশ্চিত করব।”