একবছর হতে চলল আমফানের ভয়াবহ স্মৃতি এখনও তাজা। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবার পুরোনো স্মৃতি উস্কে আবারও আছড়ে পড়তে চলেছে আরেক ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এই আশঙ্কা য় প্রহর গুণছে রাজ্যবাসী। তবে এইবার ঘূর্ণিঝড় – এর পূর্বেই তৎপর হল রাজ্য সরকার, সবরকম ভাবে পদেওক্ষেপ নিচ্ছে। এদিকে এই পরিস্থিতিতে জীব–জন্তুদের নিয়ে ভাবনা শুরু হয়েছে। আলিপুর চিড়িয়াখানার প্রাণীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন কর্তৃপক্ষ। এই দাপট থেকে রক্ষা করতে ঘূর্ণিঝড়ে যাতে চিড়িয়াখানার জন্তুদের কোনও অনিষ্ট না হয় তার জন্য ২৫ মে বিকেলেই তাদের নাইট শেল্টারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার পাশাপাশি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে একটি ‘লিটিল আর্মি’ তৈরি থাকছে। ৩৫ জনের সেই দলে ডাক্তার থেকে সশস্ত্র রক্ষী থাকছেন সকলেই।
এই বিষয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে যাতে ভয় পেয়ে জন্তুরা ছোটাছুটি না করে, তার জন্যই ওদের নাইট শেল্টারে রাখা হবে। ঝড়ে গাছের ডাল বা অন্য কিছু যাতে উড়ে এসে ওদের ক্ষতি করতে পারে। তার জন্যই এই বিকল্প ভাবনা।’ অর্থাৎ মঙ্গলবার রাত থেকেই সকলে ঘরবন্দি থাকবে। বিষাক্ত সরীসৃপ যেমন চন্দ্রবোড়া, গোখরো-সহ অ্যানাকোন্ডাও থাকবে কাঠের বাক্সে। হাতি যেমন রাতে শেল্টারে থাকে তেমনই থাকবে। সঙ্গে তাদের একটু বেঁধেও রাখতে হবে।