বৃহস্পতিবার ইডেনে সেমি ফাইনাল ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

ইডেনেও ‘চোকার্সের’ তকমা মুছে ফেলতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপের শুরু থেকে টেম্বা বাভুমার দল দারুণ ফর্মে থাকলেও তাঁদের চেনা গেল না সেমিফাইনালের অর্ধেক সময়। পাঁচ বার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেও পাঁচ বারই হারের সম্মুখীন হতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।বৃহস্পতিবার ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ৩ উইকেটে জিতে বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের সামনে অস্ট্রেলিয়া।তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে যতটা সহজে অস্ট্রেলিয়া সেমিফাইনাল জিতবে বলে মনে করা যাচ্ছিল, ততটা সহজ না হলেও পাঁচ বারের বিশ্বজয়ীদের জয়।

আকাশ মেঘলা থাকা সত্ত্বেও টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নেন বাভুমা। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২১২ রানেই শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। তবে সেই ম্যাচে কেউই রান ব্যাটে রান করতে সক্ষম হয়নি। তাই হেনরিক ক্লাসেন ৪৭ ও ডেভিড মিলার ১০১ রানের ইনিংসটি না করলে বড় লজ্জায় পড়তে হত দক্ষিণ আফ্রিকাকে। দলের ইনিংসের ধস শুরু বাভুমাকে দিয়েই। অন্যদিকে ডি’কক গোটা প্রতিযোগিতায় দারুণ ফর্মে থাকলেও সেমিফাইনালে রান তুলতে ব্যর্থ হয় তিনি।

গোটা ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার হলেন মিচেল স্টার্ক। ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি এবং অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও ৫১ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন। তবু ইডেনের ২২ গজে ২১৩ রান খুব সহজে তুলতে পারল না অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনার ইনিংসটি শুরু করেন আগ্রাসী মেজাজে। তবে মার্করাম এবং কেশব মহারাজের দু’ওভারে দুই ওপেনারকে আউট করতেই চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। তবে মিডিল অর্ডারে সেভাবে কেউ রান তুলতে না পারলেও শেষ দিকে লড়াই করেন জশ ইংলিস। আর তাঁকে সঙ্গ দিলেন স্টার্ক।