বর্ষ শেষের দোর গোড়াতে ও পিছু ছাড়ছেনা ডেঙ্গি আতঙ্ক

 বছর শেষে শীতের আমেজ শহর থেকে জেলায়। তবে বর্ষশেষের দোরগোড়াতেও পিছু ছাড়ছে না ডেঙ্গি আতঙ্ক। বিশেষ করে চিন্তা বাড়াচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনার ডেঙ্গি আক্রান্তদের পরিসংখ্য়ান। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনার স্বাস্থ্য় জেলায়, শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চল মিলিয়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৩০ জন। এর মধ্য়ে শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনার স্বাস্থ্য় জেলা শহরাঞ্চলেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৩৩ জন। পুরসভা অনুযায়ী ভাগ করলে সেই তালিকায় প্রথমেই নাম রয়েছে বিধাননগর পুরসভার। চলতি বছরের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত এখানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্য়া ৩৭০। পুরসভার তরফ থেকে বলা হয়েছে, তারা সমস্ত দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, পুরসভার থেকে সার্ভের সময় সহযোগিতা করা হচ্ছে না।


উত্তর চব্বিশ পরগনা স্বাস্থ্য জেলায়, বিধাননগরের পরই রয়েছে নৈহাটি পুরসভা। সেখানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্য়া ২৫২। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভাটপাড়া পুরসভা। যেখানে আক্রান্তের সংখ্য়া ১৫০। ১১১ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। পাশাপাশি মধ্য়মগ্রাম পুরসভায় আক্রান্ত হয়েছে ১০৪ জন। নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্য়ায়ের কথায়, “আমরা কাজ করছি। মানুষের সচেতনতার অভাবে এসব হচ্ছে।”

শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। সেখানে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্য়া রয়েছে বনগাঁ ব্লকে। তারপর রয়েছে দেগঙ্গা। স্বাস্থ্য় দফতরের পরিসংখ্য়ান বলছে, উত্তর ২৪ পরগনার গ্রামাঞ্চলে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্য়া ৯৯৭। তার মধ্য়ে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন বনগাঁ ব্লকে। সেখানে সংখ্য়াটা ১৬৭। তারপর সেই তালিকায় রয়েছে দেগঙ্গা ব্লক। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫২ জন। পাশাপাশি তৃতীয় স্থানে রয়েছে হাবড়া ২ নম্বর ব্লক। সেখানে সংখ্য়াটা ৯৬। এদিকে বারাসাত ১ নম্বর ব্লকে আক্রান্ত হয়েছেন ৯২ জন। এবং গাইঘাটাতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯১ জন। ভাটপাড়া পুরসভা ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্য়োতি ঘোষ বলেন, “আমরা ডেঙ্গি প্রতিরোধে যা যা করার করছি। কিন্তু মানুষকেও তো সচেতন হতে হবে।”