সদ্য মাত্রই নতুন রাজনীতির সূচনা হয়েছে মহারাষ্ট্রে৷ মাত্র দু’মাস হল ‘গাঁটছড়া’ বেঁধেছে তারা৷ এরই মধ্যে সম্পর্কে ফাটলের গুঞ্জন৷ একাধিক ইস্যুতে নাকি মত পার্থক্য দেখা দিয়েছে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং বিজেপি’র মধ্যে৷ ফলে আরও একবার রাজনৈতিক ডামাডোলের মুখে পড়তে পারে মহারাষ্ট্র৷ আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলের৷
উদ্ধব ঠাকরেকে সরিয়ে বিজেপি’র সঙ্গে জোট বেঁধে মহারাষ্ট্রের মসনদে বসেছেন একনাথ শিন্ডে৷ কিন্তু, গেরুয়া শিবিরের একাংশের মতে একনাথ মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসলেও, সরকার চালাতে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে সেই বিজেপিই।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে বিস্ফোরক দাবি করেন৷ তিনি বলেন, রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। গত ৩০ জুন বিজেপির সঙ্গে শিন্ডে শিবির হাত মেলানোর পর একনাথকে মুখ্যমন্ত্রীর গদি ছেড়ে দেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
এর জন্য ফড়ণবীসের প্রশংসাও করেন তিনি৷ দেবেন্দ্রের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন৷ নতুন সরকার গঠনের পর শিন্ডের ‘ডেপুটি’ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ফড়ণবীস। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে চন্দ্রশেখরের এ হেন মন্তব্য নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে৷ ২০২৪ সালের পর আদৌ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে থাকবেন কিনা, তা নিয়ে একপ্রকার অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলেও মনে করছেন একনাথ শিবিরের একাংশ।
এদিকে, বুলধানা লোকসভা কেন্দ্র নিয়েও মনোমালিন্য তৈরি হয়েছে শিন্ডে শিবির ও বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে৷ আবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিন্ডে শিবিরের এক মন্ত্রীর কথায়, ‘‘আগামী লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের আসন ধরে রাখতে মতাদর্শ বদলেছেন ১২ জন সাংসদ।
অথচ তাঁদের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। আরও বেশ কয়েকটি লোকসভা কেন্দ্র নিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হতে পারে।’’ শিন্ডে শিবিরের একাংশ মনে করছে, আগামী দিনে পুরসভা নির্বাচনে আসন বণ্টন নিয়েও বিজেপির সঙ্গে মতানৈক্য তৈরি হতে পারে।