শিলিগুড়ির নয়াবাজারের বাসিন্দা শ্বাসকষ্টের রোগীকে বুধবার রাতে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পরে চিকিৎসক ওষুধ লিখে দেন। হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের দোকান তা রাখে না জেনে চিন্তায় পড়ে রোগীর পরিবার। রাত তখন সাড়ে ১০টা। শেষে দোকান বন্ধ করার পথে এক দোকানিকে অনেক অনুরোধের পরে, ওষুধ কিনে হাঁফ ছাড়ে পরিবারটি। রাত-বিরেতে রোগীদের ওষুধ কিনতে কী ভাবে হেনস্থা হতে হয় তা ভুক্তভোগীরাই জনেন। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট— উত্তরবঙ্গের যে শহরই হোক না কেন, রাতে ওষুধের জরুরি প্রয়োজনে হন্যে হয়ে ঘুরলেও দোকান খোলা মেলে না। বাড়িতে রোগীকে দেওয়ার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার পেতে আরও সমস্যা। তবে, মালদহ শহরে রাতে কিছু ওষুধ দোকান খোলা থাকে। বেঙ্গল কেমিস্টস অ্য়ান্ড ড্রাগিস্টস অ্য়াসোসিয়েশনের (বিসিডিএ) মালদহ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত সুকুলের দাবি, নিরাপত্তা দিলে ইংরেজবাজারে এলাকা ধরে একটি ওষুধের দোকান খোলা রাখতে পারবেন তাঁরা।
মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল বা আরও দুই একটি সরকারি হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকলেও অনেক ওষুধ মেলে না বলে অভিযোগ। হাসপাতালের চিকিৎসকদের অনেক সময় রোগীর প্রয়োজন মতো কিছু ওষুধ দেন যা বাইরে থেকে কেনা ছাড়া উপায় থাকে না। রাত-বিরেতে দোকান খোলা না থাকায় বিপাকে পড়েন রোগীর পরিজনেরা। জলপাইগুড়ির (সদর) মহকুমাশাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সম্প্রতি বৈঠক করেন। জলপাইগুড়িতে বিসিডিএ-র তরফে আশ্বাস, শীঘ্রই রাত্রিকালীন পরিষেবা চালু হচ্ছে। ওষুধ ব্যবসায়ীদের দাবি, মাদকাসক্তেরা দোকানে এসে ঝামেলা করে, ভাঙচুর করে। পুলিশি নিরাপত্তা না পেলে রাতে দোকান খোলা রাখা মুশকিল।